8. এভাবে সেই সময়ে সোলায়মান ও তাঁর সঙ্গে সমস্ত ইসরাইল, হমাতের প্রবেশ-স্থান থেকে মিসরের স্রোত পর্যন্ত (দেশবাসী) অতি মহাসমাজ, সাত দিন উৎসব করলেন।
9. পরে তাঁরা অষ্টম দিনে উৎসব-সভা করলেন, ফলত তাঁরা সাত দিন কোরবানগাহ্র প্রতিষ্ঠা ও সাত দিন উৎসব পালন করলেন।
10. সোলায়মান সপ্তম মাসের ত্রয়োবিংশ দিনে লোকদেরকে স্ব স্ব তাঁবুতে বিদায় করলেন। মাবুদ দাউদ, সোলায়মান ও তাঁর লোক ইসরাইলের যেসব মঙ্গল করেছিলেন, তার দরুন তারা আনন্দিত ও হৃষ্টচিত্ত হয়েছিল।
11. এভাবে সোলায়মান মাবুদের গৃহ ও রাজপ্রাসাদের নির্মাণ সমাপ্ত করলেন; মাবুদের গৃহে ও নিজের বাড়িতে যা করতে সোলায়মানের মনোবাঞ্ছা হয়েছিল, সেসব তিনি সহিসালামতে সাধন করলেন।
12. পরে মাবুদ রাতে সোলায়মানকে দর্শন দিয়ে বললেন, আমি তোমার মুনাজাত শুনেছি ও কোরবানী-গৃহ বলে এই স্থান আমার জন্য মনোনীত করেছি।
13. আমি যদি আসমান রুদ্ধ করি, আর বৃষ্টি না হয়, কিংবা দেশ বিনষ্ট করতে পঙ্গপালদেরকে হুকুম করি, অথবা আমার লোকদের মধ্যে মহামারী প্রেরণ করি,
14. আমার লোকেরা, যাদের উপরে আমার নাম কীর্তিত হয়েছে, তারা যদি নম্র হয়ে মুনাজাত করে ও আমার মুখের খোঁজ করে এবং তাদের কুপথ থেকে ফিরে, তবে আমি বেহেশত থেকে তা শুনব, তাদের গুনাহ্ মাফ ও তাদের দেশ সুস্থ করবো।
15. এই স্থানে যে মুনাজাত হবে, তার প্রতি এখন আমার চোখ ও কান খোলা থাকবে।
16. কেননা এই গৃহে যেন আমার নাম চিরকালের জন্য থাকে, এজন্য আমি এখন এটি মনোনীত ও পবিত্র করলাম এবং এই স্থানে সব সময় আমার চোখ ও আমার অন্তর থাকবে।
17. আর তোমার পিতা দাউদ যেমন চলতো, তেমনি তুমিও যদি আমার সাক্ষাতে চল, আমি তোমাকে যে সমস্ত হুকুম দিয়েছি, যদি তদনুযায়ী কাজ কর এবং আমার বিধি ও সমস্ত অনুশাসন পালন কর;
18. তবে ইসরাইলের উপরে কর্তৃত্ব করতে তোমার বংশে লোকের অভাব হবে না; এই বলে আমি তোমার পিতা দাউদের সঙ্গে যে নিয়ম করেছিলাম, সেই অনুসারে তোমার রাজ-সিংহাসন স্থির করবো।