33. তখন তুমি বেহেশত থেকে, তোমার নিবাস-স্থান থেকে তা শুনো; এবং সেই বিদেশী লোক তোমার কাছে যা কিছু মুনাজাত করবে, সেই অনুসারে করো; যেন তোমার লোক ইসরাইলের মত দুনিয়ার সমস্ত জাতি তোমার নাম জানতে পারে ও তোমাকে ভয় করে এবং তারা যেন জানতে পায় যে, আমার নির্মিত এই গৃহের উপরে তোমারই নাম কীর্তিত।
34. তুমি তোমার লোকদেরকে কোন পথে প্রেরণ করলে, যদি তারা তাদের শত্রুদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে বের হয় এবং তোমার মনোনীত এই নগর ও তোমার নামের জন্য আমার নির্মিত গৃহের উদ্দেশে তোমার কাছে মুনাজাত করে;
35. তবে তুমি বেহেশত থেকে তাদের মুনাজাত ও ফরিয়াদ শুনো এবং তাদের বিচার নিষ্পত্তি করো।
36. তারা যদি তোমার বিরুদ্ধে গুনাহ্ করে — কেননা গুনাহ্ না করে, এমন কোন মানুষ নেই — এবং তুমি যদি তাদের প্রতি ক্রুদ্ধ হয়ে দুশমনের হাতে তাদেরকে তুলে দাও ও দুশমনেরা তাদেরকে বন্দী করে দূরস্থ কিংবা নিকটস্থ কোন দেশে নিয়ে যায়;
37. তবুও যে দেশে তাদের বন্দী হিসেবে নেওয়া হয়েছে, সেই দেশে যদি মনে মনে বিবেচনা করে ও ফেরে, তাদের বন্দীত্বের দেশে তোমার কাছে ফরিয়াদ করে যদি বলে, আমরা গুনাহ্ করেছি, অপরাধী হয়েছি ও দুষ্টামি করেছি;
38. এবং যে দেশে বন্দীরূপে নীত হয়েছে, সেই বন্দীত্বের দেশে যদি সমস্ত অন্তঃকরণ ও সমস্ত প্রাণের সঙ্গে তোমার কাছে ফিরে আসে এবং তুমি তাদের পূর্বপুরুষদেরকে যে দেশ দিয়েছ, তাদের সেই দেশের উদ্দেশে, তোমার মনোনীত নগর ও তোমার নামের জন্য আমার নির্মিত গৃহের জন্য যদি মুনাজাত করে;
39. তবে তুমি বেহেশত থেকে, তোমার বাসস্থান থেকে তাদের মুনাজাত ও ফরিয়াদ শুনো এবং তাদের বিচার নিষ্পত্তি করো; আর তোমার যে লোকেরা তোমার বিরুদ্ধে গুনাহ্ করেছে, তাদেরকে মাফ করো।
40. এখন, হে আমার আল্লাহ্, আরজ করি, এই স্থানে যে মুনাজাত হবে, তার প্রতি যেন তোমার চোখ ও কান খোলা থাকে।