28. দেশে যদি দুর্ভিক্ষ হয়, মহামারী হয়, শস্যের শোষ বা ম্লানি বা পঙ্গপাল কিংবা কীট হয়, যদি তাদের দুশমনেরা তাদের দেশে নগরে নগরে তাদেরকে অবরোধ করে, যদি কোন বিপদ বা রোগের প্রাদুর্ভাব হয়;
29. তা হলে কোন ব্যক্তি বা তোমার লোক সমস্ত ইসরাইল, যারা প্রত্যেকে যার যার যন্ত্রণা ও মনের কষ্ট জানে এবং এই গৃহের দিকে দু’হাত তুলে কোন মুনাজাত বা ফরিয়াদ করে;
30. তবে তুমি তোমার নিবাসস্থান বেহেশত থেকে তা শুনো এবং মাফ করো এবং প্রত্যেক জনকে নিজ নিজ পথ অনুযায়ী সমস্ত কাজের প্রতিফল দিও— তুমি তো তাদের অন্তঃকরণ জান; কেননা একমাত্র তুমিই বনি-আদমদের অন্তঃকরণ জান—
31. যেন আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে তুমি যে দেশ দিয়েছ, এই দেশে তারা যত দিন জীবিত থাকে, তোমার পথে চলবার জন্য তোমাকে ভয় করে।
32. এছাড়া, তোমার লোক ইসরাইল জাতির নয়, এমন কোন বিদেশী লোক যখন তোমার মহানাম, তোমার শক্তিশালী হাত ও তোমার বাড়িয়ে দেওয়া বাহুর উদ্দেশে দূর দেশ থেকে আসবে, যখন তারা এসে এই গৃহের জন্য মুনাজাত করবে,
33. তখন তুমি বেহেশত থেকে, তোমার নিবাস-স্থান থেকে তা শুনো; এবং সেই বিদেশী লোক তোমার কাছে যা কিছু মুনাজাত করবে, সেই অনুসারে করো; যেন তোমার লোক ইসরাইলের মত দুনিয়ার সমস্ত জাতি তোমার নাম জানতে পারে ও তোমাকে ভয় করে এবং তারা যেন জানতে পায় যে, আমার নির্মিত এই গৃহের উপরে তোমারই নাম কীর্তিত।
34. তুমি তোমার লোকদেরকে কোন পথে প্রেরণ করলে, যদি তারা তাদের শত্রুদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে বের হয় এবং তোমার মনোনীত এই নগর ও তোমার নামের জন্য আমার নির্মিত গৃহের উদ্দেশে তোমার কাছে মুনাজাত করে;
35. তবে তুমি বেহেশত থেকে তাদের মুনাজাত ও ফরিয়াদ শুনো এবং তাদের বিচার নিষ্পত্তি করো।
36. তারা যদি তোমার বিরুদ্ধে গুনাহ্ করে — কেননা গুনাহ্ না করে, এমন কোন মানুষ নেই — এবং তুমি যদি তাদের প্রতি ক্রুদ্ধ হয়ে দুশমনের হাতে তাদেরকে তুলে দাও ও দুশমনেরা তাদেরকে বন্দী করে দূরস্থ কিংবা নিকটস্থ কোন দেশে নিয়ে যায়;