20. যে স্থানের বিষয়ে তুমি বলেছ যে, তোমার নাম সেই স্থানে রাখবে, সেই স্থানের অর্থাৎ এই গৃহের প্রতি তোমার চোখ দিনরাত উন্মীলিত থাকুক এবং এই স্থানের জন্য তোমার গোলাম যে মুনাজাত করে, তা শুনো।
21. আর তোমার গোলাম ও তোমার লোক ইসরাইল যখন এই স্থানের উদ্দেশে মুনাজাত করবে, তখন তাদের সকল বিনতিতে কান দিও; তোমার নিবাস স্থান থেকে, বেহেশত থেকে তা শুনো ও মাফ করো।
22. কেউ তার প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে গুনাহ্ করলে যদি তাকে শপথ করাবার জন্য কোন কসম নিশ্চিত হয়, আর সে এসে এই বাড়িতে তোমার কোরবানগাহ্র সম্মুখে সেই কসম খায়,
23. তবে তুমি বেহেশত থেকে তা শুনো এবং তোমার গোলামদের বিচার নিষ্পত্তি করো; দোষীকে দোষী করে তার কাজের ফল তার মাথায় বর্তিও এবং ধার্মিককে ধার্মিক করে তার ধার্মিকতা অনুযায়ী ফল দিও।
24. তোমার লোক ইসরাইল তোমার বিরুদ্ধে গুনাহ্ করার দরুন দুশমনের সম্মুখে আহত হবার পর যদি পুনর্বার ফিরে এবং এই বাড়িতে তোমার নামের প্রশংসা-গজল করে তোমার কাছে মুনাজাত ও ফরিয়াদ করে;
25. তবে তুমি বেহেশত থেকে তা শুনো এবং তোমার লোক ইসরাইলের গুনাহ্ মাফ করো, আর তাদেরকে ও তাদের পূর্ব-পুরুষদেরকে এই যে দেশ দিয়েছ, সেখানে পুনর্বার তাদেরকে এনো।
26. তোমার বিরুদ্ধে তাদের গুনাহ্র দরুন যদি আসমান রুদ্ধ হয়, বৃষ্টি না হয়, আর লোকেরা যদি এই স্থানের জন্য মুনাজাত করে, তোমার নামের প্রশংসা-গজল করে এবং তোমা থেকে দুঃখ পাওয়াতে নিজের নিজের গুনাহ্ থেকে ফিরে আসে,
27. তবে তুমি বেহেশতে তা শুনো এবং তোমার গোলামদের ও তোমার লোক ইসরাইলের গুনাহ্ মাফ করো ও তাদের গন্তব্য সৎপথ তাদেরকে দেখিয়ে দিও এবং তুমি তোমার লোকদেরকে যে দেশ অধিকার হিসেবে দিয়েছ, তোমার সেই দেশে বৃষ্টি পাঠিয়ে দিও।
28. দেশে যদি দুর্ভিক্ষ হয়, মহামারী হয়, শস্যের শোষ বা ম্লানি বা পঙ্গপাল কিংবা কীট হয়, যদি তাদের দুশমনেরা তাদের দেশে নগরে নগরে তাদেরকে অবরোধ করে, যদি কোন বিপদ বা রোগের প্রাদুর্ভাব হয়;
29. তা হলে কোন ব্যক্তি বা তোমার লোক সমস্ত ইসরাইল, যারা প্রত্যেকে যার যার যন্ত্রণা ও মনের কষ্ট জানে এবং এই গৃহের দিকে দু’হাত তুলে কোন মুনাজাত বা ফরিয়াদ করে;
30. তবে তুমি তোমার নিবাসস্থান বেহেশত থেকে তা শুনো এবং মাফ করো এবং প্রত্যেক জনকে নিজ নিজ পথ অনুযায়ী সমস্ত কাজের প্রতিফল দিও— তুমি তো তাদের অন্তঃকরণ জান; কেননা একমাত্র তুমিই বনি-আদমদের অন্তঃকরণ জান—
31. যেন আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে তুমি যে দেশ দিয়েছ, এই দেশে তারা যত দিন জীবিত থাকে, তোমার পথে চলবার জন্য তোমাকে ভয় করে।
32. এছাড়া, তোমার লোক ইসরাইল জাতির নয়, এমন কোন বিদেশী লোক যখন তোমার মহানাম, তোমার শক্তিশালী হাত ও তোমার বাড়িয়ে দেওয়া বাহুর উদ্দেশে দূর দেশ থেকে আসবে, যখন তারা এসে এই গৃহের জন্য মুনাজাত করবে,
33. তখন তুমি বেহেশত থেকে, তোমার নিবাস-স্থান থেকে তা শুনো; এবং সেই বিদেশী লোক তোমার কাছে যা কিছু মুনাজাত করবে, সেই অনুসারে করো; যেন তোমার লোক ইসরাইলের মত দুনিয়ার সমস্ত জাতি তোমার নাম জানতে পারে ও তোমাকে ভয় করে এবং তারা যেন জানতে পায় যে, আমার নির্মিত এই গৃহের উপরে তোমারই নাম কীর্তিত।
34. তুমি তোমার লোকদেরকে কোন পথে প্রেরণ করলে, যদি তারা তাদের শত্রুদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে বের হয় এবং তোমার মনোনীত এই নগর ও তোমার নামের জন্য আমার নির্মিত গৃহের উদ্দেশে তোমার কাছে মুনাজাত করে;
35. তবে তুমি বেহেশত থেকে তাদের মুনাজাত ও ফরিয়াদ শুনো এবং তাদের বিচার নিষ্পত্তি করো।
36. তারা যদি তোমার বিরুদ্ধে গুনাহ্ করে — কেননা গুনাহ্ না করে, এমন কোন মানুষ নেই — এবং তুমি যদি তাদের প্রতি ক্রুদ্ধ হয়ে দুশমনের হাতে তাদেরকে তুলে দাও ও দুশমনেরা তাদেরকে বন্দী করে দূরস্থ কিংবা নিকটস্থ কোন দেশে নিয়ে যায়;