20. পরে এসব কারণের জন্য বাদশাহ্ হিষ্কিয় ও আমোজের পুত্র নবী ইশাইয়া মুনাজাত করলেন ও বেহেশতের কাছে কান্নাকাটি করলেন।
21. তখন মাবুদ এক জন ফেরেশতা প্রেরণ করলেন; তিনি আসেরিয়ার বাদশাহ্র শিবিরের মধ্যে সমস্ত বলবান বীর, প্রধান লোক ও সেনাপতিকে উচ্ছেদ করলেন; তাতে সন্হেরীব লজ্জিত হয়ে নিজের দেশে ফিরে গেলেন। পরে তিনি তাঁর দেবালয়ে প্রবেশ করলে তাঁর নিজের সন্তানেরা সেই স্থানে তলোয়ার দ্বারা তাঁকে হত্যা করলো।
22. এভাবে মাবুদ হিষ্কিয় ও জেরুশালেম-নিবাসীদেরকে আসেরিয়ার বাদশাহ্ সন্হেরীবের হাত থেকে ও আর সকলের হাত থেকে নিস্তার করলেন এবং সমস্ত দিকে তাদেরকে রক্ষা করলেন।
23. তাতে অনেক লোক জেরুশালেমে মাবুদের উদ্দেশে নৈবেদ্য আনলো এবং এহুদার বাদশাহ্ হিষ্কিয়ের কাছে বহুমূল্য দ্রব্য আনলো; তাতে সেই সময় থেকে তিনি সকল জাতির দৃষ্টিতে উন্নত হলেন।
24. ঐ সময়ে হিষ্কিয়ের সাংঘাতিক অসুস্থ হয়ে পড়লো, আর তিনি মাবুদের কাছে মুনাজাত করলেন; তাতে মাবুদ তাঁকে জবাব দিলেন ও তাঁকে একটি অদ্ভুত লক্ষণ জানালেন।
25. কিন্তু হিষ্কিয় যে উপকার পেয়েছিলেন সেই অনুসারে প্রতিদান করলেন না, কারণ তাঁর মন গর্বিত হয়েছিল; অতএব তাঁর এবং এহুদার ও জেরুশালেমের উপরে ক্রোধ উপস্থিত হল।
26. তখন হিষ্কিয় তাঁর মনের গর্ব বুঝে নিজেকে অবনত করলেন, তিনি ও জেরুশালেম-নিবাসীরা তা করলেন। সেজন্য হিষ্কিয়ের সময়ে মাবুদের গজব তাদের উপরে নেমে আসল না।
27. হিষ্কিয়ের অতি প্রচুর ধন ও প্রতাপ ছিল, তিনি তাঁর নিজের জন্য রূপা, সোনা, মণি, সুগন্ধি দ্রব্য, ঢাল ও সমস্ত রকম মনোহর পাত্রের কোষাগার প্রস্তুত করলেন,
28. আর শস্য, আঙ্গুর-রস ও তেলের জন্য ভাণ্ডার এবং বিভিন্ন রকম পশুর ঘর ও ভেড়ার পালের খোঁয়াড় করলেন।
29. আর তিনি তাঁর নিজের জন্য নানা নগর ও গোমেষাদির অনেক পশুধন প্রস্তুত করলেন, যেহেতু আল্লাহ্ তাঁকে অতি প্রচুর ধন দিয়েছিলেন।
30. এই হিষ্কিয় গীহোনের পানির উচ্চতর মুখ বন্ধ করে সরল পথে দাউদ-নগরের পশ্চিম পাশে সেই পানি নামিয়ে এনেছিলেন। আর হিষ্কিয় তাঁর সকল কাজে কৃতকার্য হলেন।