11. অতএব এখন আমার কথা শোন; তোমরা তোমাদের ভাইদের মধ্যে থেকে যাদেরকে বন্দী করে এনেছ, তাদেরকে পুনরায় পাঠিয়ে দাও; কেননা মাবুদের প্রচণ্ড ক্রোধ তোমাদের উপরে রয়েছে।
12. তখন আফরাহীম সন্তানদের মধ্যে কয়েক জন প্রধান লোক, অর্থাৎ যিহোহাননের পুত্র অসরিয়, মশিল্লেমোতের পুত্র বেরিখিয়, শল্লুমের পুত্র যিহিষ্কিয় ও হদলয়ের পুত্র অমাসা যুদ্ধযাত্রা থেকে প্রত্যাগত লোকদের বিপক্ষে অবস্থান নিলেন,
13. এবং তাদেরকে বললেন, তোমরা বন্দীদেরকে এই স্থানে এনো না; কেননা আমাদের গুনাহ্ ও দোষগুলোর উপরে, তোমরা মাবুদের কাছে আমাদেরকে আরও দোষগ্রস্ত করতে মানস করছো; আমাদের তো মহাদোষ হয়েছে ও ইসরাইলের উপরে মাবুদের প্রচণ্ড ক্রোধ রয়েছে।
14. তখন অস্ত্রধারী লোকেরা সেই বন্দীদের ও লুণ্ঠিত সমস্ত বস্তু কর্মকর্তাদের ও সমস্ত সমাজের সম্মুখে রাখল।
15. পরে উপরোক্ত নাম বিশিষ্ট পুরুষেরা উঠে বন্দীদেরকে নিয়ে লুটের জিনিস দিয়ে তাদের মধ্যে যারা উলঙ্গ ছিল তাদের সকলকে কাপড় পরালেন, তাদের শরীরে কাপড় ও পায়ে জুতা দিলেন, তাদেরকে ভোজন পান করালেন, তাদের শরীরে তেল মাখালেন এবং দুর্বলদেরকে গাধার পিঠে চড়িয়ে খর্জুরপুর জেরিকোতে তাদের ভাইদের কাছে তাদেরকে নিয়ে গেলেন; পরে তারা নিজেরা সামেরিয়াতে ফিরে গেলেন।
16. ঐ সময়ে বাদশাহ্ আহস সাহায্য প্রার্থনা করতে আসেরিয়া বাদশাহ্দের কাছে লোক পাঠালেন।
17. কারণ ইদোমীয়েরা পুনর্বার এসে এহুদাকে আক্রমণ করে অনেক লোক বন্দী করে নিয়ে গিয়েছিল।
18. আর ফিলিস্তিনীরা নিম্নভূমি ও এহুদার দক্ষিণাঞ্চলের সমস্ত নগর আক্রমণ করে বৈৎশেমশ, অয়ালোন, গদেরোৎ, সোখো ও তার উপনগরগুলো, তিম্না ও তার উপনগরগুলো এবং গিম্সো ও তার উপনগরগুলো হস্তগত করে সেসব স্থানে বসতি করেছিল।
19. কেননা ইসরাইলের বাদশাহ্ আহসের জন্য মাবুদ এহুদাকে নত করলেন, কারণ তিনি এহুদায় স্বেচ্ছাচার এবং মাবুদের বিরুদ্ধে নিতান্তই বিশ্বাস ভঙ্গ করেছিলেন।
20. আর আসেরিয়ার বাদশাহ্ তিলগৎ-পিলনেষর তাঁর কাছে আসলেন বটে, কিন্তু তার বলবৃদ্ধি না করে তাঁকে কষ্ট দিলেন।
21. বস্তুত আহস মাবুদের গৃহের, রাজপ্রাসাদের ও কর্মকর্তাদের কাছ থেকে মূল্যবান ধন-সম্পদ নিয়ে আসেরিয়ার বাদশাহ্কে দিলেও তাঁর কিছু সাহায্য হল না।