19. তবুও মাবুদের দিকে তাদেরকে ফিরিয়ে আনবার জন্য তিনি তাদের কাছে নবীদেরকে প্রেরণ করলেন, আর তাঁরা তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন, কিন্তু লোকেরা কান দিতে চাইল না।
20. পরে আল্লাহ্র রূহ্ যিহোয়াদা ইমামের পুত্র জাকারিয়ার উপর আসাতে তিনি লোকদের থেকে উঁচু স্থানে দাঁড়িয়ে তাদেরকে বললেন, আল্লাহ্ এই কথা বলেন, তোমরা কেন মাবুদের হুকুম লঙ্ঘন করছো? এতে কৃতকার্য হবে না। তোমরা মাবুদকে ত্যাগ করেছ, সেজন্য তিনিও তোমাদেরকে ত্যাগ করলেন।
21. তাতে লোকেরা তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে বাদশাহ্র হুকুমে মাবুদের গৃহের প্রাঙ্গণে তাঁকে পাথর ছুঁড়ে হত্যা করলো।
22. তাঁর পিতা যিহোয়াদা বাদশাহ্র প্রতি যে দয়া করেছিলেন, তা স্মরণ না করে বাদশাহ্ যোয়াশ তাঁর পুত্রকে হত্যা করলেন, তিনি মরণকালে বললেন, মাবুদ দৃষ্টিপাত করে এর প্রতিফল দেবেন।
23. পরে বছর ফিরে আসলে অরামের সৈন্যদল যোয়াশের বিরুদ্ধে দাঁড়ালো। তারা এহুদা ও জেরুশালেমে এসে লোকদের মধ্যকার কর্মকর্তাদের বিনষ্ট করলো এবং তাদের সমস্ত দ্রব্য লুট করে দামেস্কের বাদশাহ্র কাছে পাঠিয়ে দিল।
24. বস্তুত অরামের অল্প লোকবিশিষ্ট সৈন্যদল আসলেও মাবুদ তাদের হাতে সুবিশাল সৈন্যদল তুলে দিলেন, কারণ লোকেরা নিজেদের পূর্বপুরুষদের আল্লাহ্ মাবুদকে ত্যাগ করেছিল। এভাবে অরামীয়েরা যোয়াশের বিচার সাধন করলো।
25. তারা তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় ত্যাগ করে চলে যাবার পর, তাঁর গোলামেরা যিহোয়াদা ইমামের পুত্রদের রক্তপাতের দরুন তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে তাঁর বিছানার উপরে তাঁকে হত্যা করলো এবং তিনি মারা যাবার পর দাউদ-নগরে তাঁকে দাফন করলো বটে, কিন্তু বাদশাহ্দের কবর-স্থানে করলো না।