2. যিহোশাফটের ঔরশজাত যিহোরামের কয়েক জন ভাই ছিল, অসরিয়, যিহীয়েল, জাকারিয়া, অসরিয়, মিকাইল ও শফটিয়, এরা সকলে ইসরাইলের বাদশাহ্ যিহোশাফটের পুত্র।
3. আর তাদের পিতা তাদেরকে প্রচুর সম্পত্তি অর্থাৎ রূপা, সোনা ও বহুমূল্য দ্রব্য এবং এহুদা দেশস্থ প্রাচীরবেষ্টিত নগরগুলো দান করেছিলেন, কিন্তু যিহোরাম জ্যেষ্ঠ বলে তাঁকে রাজ্য দিয়েছিলেন।
4. যিহোরাম তাঁর পিতার রাজ্যে অধিষ্ঠিত হয়ে নিজেকে বলবান করলেন; আর তাঁর সমস্ত ভাই এবং ইসরাইলের কয়েক জন কর্মকর্তাদেরও তলোয়ারের আঘাতে হত্যা করলেন।
5. যিহোরাম বত্রিশ বছর বয়সে রাজত্ব করতে আরম্ভ করে জেরুশালেমে আট বছর কাল রাজত্ব করেন।
6. আহাবের কুল যেমন করতো, তিনিও তেমনি ইসরাইলের বাদশাহ্দের পথে চলতেন; কারণ তিনি আহাবের কন্যাকে বিয়ে করেছিলেন, ফলে মাবুদের দৃষ্টিতে যা মন্দ, তা-ই তিনি করতেন।
7. তবুও মাবুদ দাউদের সঙ্গে তাঁর কৃত নিয়মের দরুন এবং তাঁকে ও তাঁর সন্তানদেরকে নিয়ত একটি প্রদীপ দেবার যে ওয়াদা করেছিলেন, সেই অনুসারে তিনি দাউদের কুল বিনষ্ট করতে চাইলেন না।
8. তাঁর সময়ে ইদোম এহুদার অধীনতা অস্বীকার করে নিজেদের জন্য এক জনকে বাদশাহ্ করলো।
9. অতএব যিহোরাম তাঁর সেনাপতিদের ও সমস্ত রথ সঙ্গে নিয়ে যাত্রা করলেন; আর রাতের বেলায় তিনি উঠে যাঁরা তাঁকে বেষ্টন করেছিল সেই ইদোমীয়দের ও তাদের রথের সেনাপতিদেরকে আক্রমণ করলেন।
10. এভাবে ইদোম আজ পর্যন্ত এহুদার অধীনতা অস্বীকার করে চলছে; আর ঐ সময়ে লিব্নাও তাঁর অধীনতা অস্বীকার করলো, কেননা যিহোরাম তাঁর পূর্বপুরুষদের আল্লাহ্ মাবুদকে ত্যাগ করেছিলেন।
11. এছাড়া তিনি এহুদার অনেক পর্বতে উচ্চস্থলী প্রস্তুত করলেন এবং জেরুশালেম-নিবাসীদেরকে দিয়ে মূর্তিপূজা করালেন ও এহুদাকে বিপথগামী করলেন।
12. পরে তাঁর কাছে ইলিয়াস নবীর কাছ থেকে এই কথা সম্বলিত একখানি পত্র এল; তোমরা পিতা দাউদের আল্লাহ্ মাবুদ এই কথা বলেন, তুমি তোমার পিতা যিহোশাফটের পথে ও এহুদার বাদশাহ্ আসার পথে গমন কর নি;
13. কিন্তু ইসরাইলের বাদশাহ্দের পথে গমন করেছ এবং আহাব কুলের কাজ অনুসারে এহুদা ও জেরুশালেম-নিবাসীদেরকে মূর্তিপূজা করিয়েছ; আরও তোমা থেকে উত্তম যে তোমার পিতৃকুলজাত ভাইয়েরা, তাদেরকে হত্যা করেছ;
14. এই কারণ দেখ, মাবুদ তোমার লোকদের, তোমার সন্তানদের, তোমার স্ত্রীদের উপর ভয়ংকর আঘাত করবেন ও তোমার সমস্ত সম্পত্তি ধ্বংস করবেন।