5. এজন্য আমি ভাইদেরকে এই অনুরোধ করা প্রয়োজন মনে করলাম যেন তাঁরা আগে তোমাদের কাছে যান এবং পূর্বে ওয়াদাকৃত তোমাদের সেই দান ঠিকঠাক করেন, যেন এরূপে তা বাধ্যতামূলক বলে নয়, কিন্তু বদান্যতার বিষয় বলে প্রস্তুত থাকে।
6. মনে রেখ, যে অল্প পরিমাণে বীজ বপন করে সে অল্প পরিমাণে শস্য কাটবে; আর যে ব্যক্তি অধিক পরিমাণে বীজ বপন করে সে অধিক পরিমাণে শস্যও কাটবে।
7. প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ নিজ অন্তরে যেরূপ সঙ্কল্প করেছে সেই অনুসারে দান করুক, মনোদুঃখপূর্বক কিংবা আবশ্যক বলে না দিক; কেননা আল্লাহ্ হৃষ্টচিত্ত দাতাকে মহব্বত করেন।
8. আর আল্লাহ্ তোমাদের সর্ব প্রকার রহমতের উপচয় দিতে সমর্থ; যেন সর্ব বিষয়ে সর্বদা সর্ব প্রকার প্রাচুর্য থাকায় তোমরা সর্ব প্রকার সৎকর্মের জন্য উপচে পড়।
9. যেমন লেখা আছে,“সে বিতরণ করেছে, দরিদ্রদের দান করেছে,তার ধার্মিকতা চিরস্থায়ী।”
10. আর যিনি বপনকারীকে বীজ ও খাবারের জন্য খাদ্য যুগিয়ে থাকেন তিনি তোমাদের বপনের বীজ যোগাবেন এবং তা প্রচুর করবেন, আর তোমাদের ধার্মিকতার ফল বৃদ্ধি করবেন;
11. এরূপে তোমরা সর্ব প্রকার দানশীলতার জন্য সর্ববিষয়ে ধনবান হবে, আর এই দানশীলতা আমাদের দ্বারা আল্লাহ্র প্রতি শুকরিয়া সম্পন্ন করে।
12. কেননা এই সেবারূপ পরিচর্যা-কর্ম কেবল পবিত্র লোকদের অভাব পূর্ণ করছে তা নয়, বরং আল্লাহ্র উদ্দেশে গভীর কৃতজ্ঞতাও উপচে পড়ছে।
13. কেননা তোমাদের এই পরিচর্যায় তোমাদের যোগ্যতার প্রমাণ পেয়ে তারা আল্লাহ্র গৌরব করবে এবং তোমরা মসীহের ইঞ্জিলের প্রতি যে স্বীকৃত বাধ্যতা দেখাচ্ছ এবং তাদের ও সকলের সংগে সহভাগী হয়ে যে দানশীলতা দেখাচ্ছ তার জন্যও তারা তাঁর গৌরব করবে;