9. আর সেজন্য আমরা নিজ দেহে বাস করি, কিংবা প্রবাসী হই, আমাদের লক্ষ্য হল তাঁকে খুশি করা।
10. কারণ আমাদের সকলকেই মসীহের বিচারাসনের সম্মুখে হাজির হতে হবে, যেন সৎকার্য হোক, কি অসৎকার্য হোক, প্রত্যেকে তার নিজের কৃতকর্ম অনুসারে দেহ দ্বারা উপার্জিত ফল পায়।
11. অতএব, প্রভুর ভয় কি তা জানি বলে আমরা মানুষকে বুঝাবার চেষ্টা করছি, কিন্তু আল্লাহ্ আমাদের সকলকে ভালভাবেই জানেন; আর আমি প্রত্যাশা করি যে, তোমাদের বিবেকও আমাদের ভালভাবে জানে।
12. আমরা পুনরায় তোমাদের কাছে নিজেদেরকে যোগ্য পাত্র বলে প্রমাণ করছি না, কিন্তু আমাদের নিয়ে গর্ববোধ করার সুযোগ তোমাদের দিচ্ছি, যেন, যারা অন্তরে নয় কিন্তু বাইরের বিষয় নিয়ে গর্ব করে, তোমরা তাদেরকে উত্তর দিতে পার।
13. কেননা যদি আমরা হতবুদ্ধি হয়ে থাকি, তবে তা আল্লাহ্র জন্যই হয়েছি এবং যদি সুবুদ্ধি সম্পন্ন হয়ে থাকি তবে তা তোমাদের জন্যই হয়েছি।
14. কারণ মসীহের মহব্বত আমাদের বশে রেখে চালাচ্ছে; কেননা আমরা নিশ্চিত ভাবে বুঝেছি যে, একজন সকলের জন্য মরলেন, সুতরাং সকলেই মারা গেল;
15. আর তিনি সকলের জন্য মরলেন, যেন, যারা জীবিত আছে তারা আর নিজেদের উদ্দেশে নয় কিন্তু যিনি তাদের জন্য মরেছিলেন ও পুনরুত্থিত হলেন তাঁরই উদ্দেশে জীবন ধারণ করে।
16. অতএব এখন থেকে আমরা আর কাউকেও বাহ্যিক অবস্থা অনুসারে বিচার করি না; যদিও মসীহ্কে বাহ্যিক অবস্থা অনুসারে বিচার করেছিলাম, তবুও এখন আর সেভাবে বিচার করি না।
17. ফলত কেউ যদি মসীহে থাকে তবে নতুন সৃষ্টি হল; তার পুরানো বিষয়গুলো অতীত হয়েছে, দেখ, সেগুলো নতুন হয়ে উঠেছে।
18. সব কিছুই আল্লাহ্ থেকেই হয়েছে; তিনি মসীহ্ দ্বারা নিজের সঙ্গে আমাদের সম্মিলন করেছেন এবং সম্মিলনের পরিচর্যা-পদ আমাদের দিয়েছেন;