3. কিন্তু আমাদের ইঞ্জিল যদি ঢাকা থাকে, তবে যারা বিনাশ পাচ্ছে, তাদেরই কাছে ঢাকা থাকে।
4. তাদের মধ্যে এই যুগের দেবতা অ-ঈমানদারদের মন অন্ধ করে রেখেছে, যেন আল্লাহ্র প্রতিমূর্তি যে মসীহ্, তাঁর গৌরবের ইঞ্জিল-নূর তাদের কাছে উদ্ভাসিত না হয়।
5. বস্তুতঃ আমরা নিজেদের নয়, কিন্তু মসীহ্ ঈসাকেই প্রভু বলে তবলিগ করছি এবং নিজেদেরকে ঈসার জন্য তোমাদের গোলাম বলে দেখাচ্ছি।
6. কারণ যে আল্লাহ্ বলেছিলেন, ‘অন্ধকারের মধ্য থেকে আলো প্রকাশিত হোক, তিনিই আমাদের অন্তরে আলো প্রকাশ করলেন, যেন ঈসা মসীহের মুখমণ্ডলে আল্লাহ্র গৌরবের জ্ঞানের আলো প্রকাশ পায়।
7. কিন্তু এই ধন মাটির পাত্রে করে আমরা ধারণ করছি, যেন এই অসাধারণ মহাশক্তি আল্লাহ্র হয়, আমাদের থেকে নয়।
8. আমরা সর্বপ্রকারে ক্লিষ্ট হচ্ছি, কিন্তু উদ্ধিগ্ন হই না; হতবুদ্ধি হচ্ছি, কিন্তু নিরাশ হই না;
9. তাড়িত হচ্ছি, কিন্তু পরিত্যক্ত হই না; আঘাত করা হচ্ছে, কিন্তু বিনষ্ট হই না।
10. আমরা সর্বদা এই দেহে ঈসার মৃত্যু বহন করে বেড়াচ্ছি, যেন ঈসার জীবনও আমাদের দেহে প্রকাশ পায়।
11. কেননা আমরা জীবিত হয়েও ঈসার জন্য সর্বদাই মৃত্যুর মুখে সমর্পিত হচ্ছি, যেন আমাদের মরণশীল দেহে ঈসার জীবনও প্রকাশ পায়।
12. এরূপে আমাদের মধ্যে মৃত্যু কাজ করছে, কিন্তু তোমাদের মধ্যে জীবন কাজ করছে।
13. কিন্তু ঈমানের সেই রূহ্ আমাদের আছে, যেরূপ পাক-কিতাবে লেখা আছে, “আমি ঈমান এনেছি, তাই কথা বললাম;” তেমনি আমরাও ঈমান এনেছি, তাই কথাও বলছি;
14. কেননা আমরা জানি, যিনি প্রভু ঈসাকে পুনরুত্থিত করেছেন, তিনি ঈসার সঙ্গে আমাদেরকেও পুনরুত্থিত করবেন এবং তোমাদের সঙ্গে আমাদেরও নিজের সম্মুখে উপস্থিত করবেন।
15. কারণ সব কিছুই তোমাদের জন্য, যেন আল্লাহ্র রহমত অধিক লোকের দ্বারা বৃদ্ধি পেয়ে আল্লাহ্র গৌরবার্থে প্রচুর শুকরিয়ার কারণ হয়ে ওঠে।
16. এজন্য আমরা নিরুৎসাহ হই না, কিন্তু আমাদের বাইরের সত্তা যদিও ক্ষীণ হচ্ছে, তবুও অন্তরের সত্তা দিন দিন নতুনীকৃত হচ্ছে।
17. বস্তুতঃ আমাদের যে লঘুতর ক্লেশ হয়ে থাকে, তা আমাদের অনন্তকাল স্থায়ী মহিমার জন্য প্রস্তুত করছে; সেই মহিমা এত বেশি যে তা মাপা যায় না।