6. তিনিই আমাদেরকে নতুন নিয়মের পরিচারক, অক্ষরের নয়, কিন্তু রূহের পরিচারক হবার উপযুক্তও করেছেন; কারণ অক্ষর, কিন্তু মৃত্যু নিয়ে আসে কিন্তু রূহ্ জীবনদায়ক।
7. মৃত্যুর যে পরিচর্যা-পদ পাথরে লেখা ও খোদাই করা, তা এমন মহিমার সংগে এসেছিল যে, বনি-ইসরাইল মূসার মুখের মহিমার উজ্জ্বলতার কারণে তাঁর মুখের দিকে একদৃষ্টে তাকাতে পারছিল না,
8. কিন্তু তবুও সেই মহিমার উজ্জ্বলতা লোপ পাচ্ছিল, তবে কেন পাক-রূহের পরিচর্যা-পদ বরং আরও মহিমাযুক্ত হবে না?
9. কেননা দণ্ডাজ্ঞার পরিচর্যা-পদ যদি এত মহিমাস্বরূপ হয়, তবে ধার্মিকতার পরিচর্যা-পদ মহিমায় আরও কত না অধিক উপচে পড়ে।
10. কারণ যা একদা মহিমাযুক্ত করা হয়েছিল, এখনকার মহান মহিমার কারণে তার সেই মহিমা হারিয়ে ফেলেছিল।
11. কেননা যা লোপ পাচ্ছে, তা যদি মহিমা-যুক্ত হয়, তবে যা স্থায়ী, তা কত অধিক মহিমাযুক্ত।
12. অতএব, আমাদের এরূপ প্রত্যাশা থাকাতে আমরা অতি স্পষ্ট কথা ব্যবহার করি;
13. আর মূসার মত করি না; তিনি তো তাঁর মুখে আবরণ দিতেন, যেন বনি-ইসরাইল একদৃষ্টে চেয়ে যা লোপ পাচ্ছিল, তার পরিণাম না দেখে।
14. কিন্তু তাদের মন কঠিন হয়েছিল। কেননা অদ্যাপি পর্যন্ত এখনও যারা পুরাতন নিয়মের পাঠ শোনে, সেই আবরণ অদ্য পর্যন্ত রয়েছে, খোলা যায় না, কেননা সেই আবরণ মাত্র মসীহেই লোপ পায়;
15. কিন্তু অদ্য পর্যন্ত যে কোন সময়ে মূসার শরীয়ত পাঠ করা হয়, তখন তাদের হৃদয়ের উপরে আবরণ থাকে।
16. কিন্তু কোন ব্যক্তির অন্তর যখন প্রভুর প্রতি ফেরে, তখন সেই আবরণ অপসারিত করা হয়।
17. আর প্রভুই সেই রূহ্; এবং যেখানে প্রভুর রূহ্, সেখানে স্বাধীনতা।