২ করিন্থীয় 10:3-14 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

3. অবশ্য আমরা দুনিয়াতে চলছি বটে, কিন্তু দুনিয়ার বশে যুদ্ধযাত্রা করছি না;

4. কারণ আমাদের যুদ্ধের অস্ত্রশস্ত্র দুনিয়াবী নয়, কিন্তু দুর্গসমূহ ভেঙ্গে ফেলবার জন্য আল্লাহ্‌র সাক্ষাতে পরাক্রমী। আমরা লোকদের বাজে বিতর্ক সকল ধ্বংস করছি,

5. এবং আল্লাহ্‌-জ্ঞানের বিরুদ্ধে উত্থাপিত সমস্ত গর্বজনক বাধা ভেঙ্গে ফেলছি এবং সমুদয় চিন্তাকে বন্দী করে মসীহের বাধ্য করছি;

6. আর তোমাদের বাধ্যতা সমপূর্ণ হলে পর সমস্ত অবাধ্যতার সমুচিত দণ্ড দিতে প্রস্তুত আছি।

7. যা সম্মুখে আছে, তোমরা তা-ই নিরীক্ষণ করছো। কেউ যদি নিজের উপরে বিশ্বাস রেখে বলে, আমি মসীহের লোক, তবে সে পুনর্বার নিজে নিজেই বিচার করে বুঝুক, সে যেমন, আমরাও তেমনি মসীহের লোক।

8. বাস্তবিক আমাদের কর্তৃত্বের বিষয়ে কিছুটা বেশি গর্ব করলেও আমি লজ্জা পাব না; প্রভু তোমাদের উৎপাটনের জন্য নয়, কিন্তু তোমাদেরকে গেঁথে তুলবার জন্য সেই কর্তৃত্ব দিয়েছেন;

9. আমি পত্রগুলোর দ্বারা যে তোমাদের ভয় দেখাচ্ছি এমন মনে করো না।

10. কেউ কেউ বলে, তাঁর পত্রগুলো ভারযুক্ত ও তেজস্বী বটে, কিন্তু সাক্ষাতে তাঁর শরীর দুর্বল এবং তাঁর বাক্য শ্রবণ করার মত এমন কিছু নয়।

11. এই রকম লোকেরা বুঝুক যে, আমরা অনুপস্থিতিকালে পত্র দ্বারা বাক্যে যেমন, উপস্থিতিকালে কাজেও তেমনি।

12. কেননা এমন কোন কোন লোকের সঙ্গে আমরা নিজদেরকে গণনা করতে বা তুলনা করতে সাহস করি না, যারা নিজেরাই নিজেদের প্রশংসা করে; কিন্তু ওরা নিজেদের পরিমাপ-দণ্ডে নিজদেরকে পরিমাপ করে এবং নিজেদের সঙ্গে নিজেদের তুলনা করে বলে ওদের অত বোধশক্তি নেই।

13. আমরা কিন্তু সীমার অতিরিক্ত গর্ব করবো না, বরং আল্লাহ্‌ পরিমাণ হিসাবে আমাদের পক্ষে যে সীমা নির্ধারণ করেছেন, তার পরিমাণ অনুসারে গর্ব করবো; আর সেই সীমানার মধ্যে তোমরাও রয়েছ।

14. আমরা যখন তোমাদের কাছ পর্যন্ত গিয়েছি তখন যে আমরা সীমা অতিক্রম করছি এমন নয়, কেননা মসীহের ইঞ্জিল নিয়ে আমরা তোমাদের কাছ পর্যন্তও প্রথমে উপস্থিত হয়েছিলাম।

২ করিন্থীয় 10