6. সে তাঁকে বললো, দেখুন, এই নগরে আল্লাহ্র এক জন ব্যক্তি আছেন; তিনি অতি সম্মানিত; তিনি যা যা বলেন, সকলই সিদ্ধ হয়; চলুন, আমরা এখন সেই স্থানে যাই; হয়তো তিনি আমাদের গন্তব্য পথ বলে দিতে পারবেন।
7. তখন তালুত তাঁর ভৃত্যকে বললেন, কিন্তু দেখ, যদি আমরা যাই, তবে সেই ব্যক্তির কাছে কি নিয়ে যাব? আমাদের থলির মধ্যে যে খাদ্য ছিল তা শেষ হয়েছে; আল্লাহ্র লোকের কাছে নিয়ে যাবার জন্য আমাদের কাছে কোন উপহার নেই; আমাদের কাছে কি আছে?
8. তখন ভৃত্যটি তালুতকে জবাবে বললো, দেখুন, আমার হাতে এক শেকলের চার ভাগের এক ভাগ রূপা আছে; আমি আল্লাহ্র লোককে এ-ই দেব, আর তিনি আমাদেরকে পথ বলে দেবেন।
9. (আগেকার দিনে ইসরাইলের মধ্যে আল্লাহ্র কাছে জিজ্ঞাসা করার জন্য যেতে হলে লোকে এরকম বলতো, চল, আমরা দর্শকের কাছে যাই; কেননা সম্প্রতি যাঁকে নবী বলা যায়, আগেকার দিনে তাকে দর্শক বলা হত।)
10. তখন তালুত তাঁর ভৃত্যটিকে বললেন, ভালই বললে; চল আমরা যাই। আর আল্লাহ্র লোক যেখানে ছিলেন তাঁরা সেই নগরে গেলেন।
11. যখন তাঁরা পাহাড়ী পথ বেয়ে নগরের দিকে উঠছিলেন; তখন পানি তুলবার জন্য কয়েক জন যুবতী মেয়ে বাইরে এসেছিল, তাঁরা তাদের দেখে জিজ্ঞাসা করলেন, দর্শক কি এই স্থানে আছেন?
12. তারা তাঁদের জবাবে বললো, হ্যাঁ, আছেন; দেখ তিনি তোমাদের সম্মুখে আছেন; শীঘ্র এখনই যাও, তিনি আজ নগরে এসেছেন, কারণ ঐ উচ্চস্থলীতে আজ লোকদের একটি কোরবানীর অনুষ্ঠান হবে।
13. তোমরা নগরের মধ্যে প্রবেশ করবামাত্র, তিনি উচ্চস্থলীতে আহার করতে যাবার আগে, তাঁর দেখা পাবে; কেননা তিনি যতক্ষণ উপস্থিত না হবেন, ততক্ষণ লোকেরা ভোজন করবে না, কারণ তিনি কোরবানীর দ্রব্যে দোয়া করেন, পরে দাওয়াত পাওয়া লোকেরা ভোজন করে; অতএব তোমরা এখন গিয়ে উঠ; এই সময়ে তাঁর দেখা পাবে।
14. তখন তাঁরা নগরে উঠলেন; তাঁরা নগরের মধ্যে উপস্থিত হলে দেখ, শামুয়েল উচ্চস্থলীতে যাবার জন্য বের হয়ে তাঁদের সম্মুখে উপস্থিত হলেন।
15. আর তালুতের উপস্থিত হবার আগের দিন মাবুদ শামুয়েলের কাছে প্রকাশ করেছিলেন,
16. আগামীকাল এমন সময়ে আমি বিন্ইয়ামীন প্রদেশ থেকে এক জন লোককে তোমার কাছে প্রেরণ করবো; তুমি তাকে আমার লোক ইসরাইলের নায়ক করার জন্য অভিষেক করবে; আর সে ফিলিস্তিনীদের হাত থেকে আমার লোকদের নিস্তার করবে; কেননা আমার লোকদের কান্না আমার কর্ণগোচর হওয়াতে আমি তাদের প্রতি দৃষ্টিপাত করলাম।
17. পরে শামুয়েল তালুতকে দেখলে মাবুদ তাঁকে বললেন, দেখ, এই সেই ব্যক্তি, যার বিষয়ে আমি তোমার কাছে বলেছিলাম, সেই আমার লোকদের উপরে কর্তৃত্ব করবে।
18. তখন তালুত ফটকে শামুয়েলের কাছে উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, আরজ করি, দর্শকের বাড়ি কোথায়, আমাকে বলে দিন।
19. তখন শামুয়েল তালুতকে উত্তর করলেন, আমিই দর্শক, আমার সম্মুখবর্তী হয়ে উচ্চস্থলীতে চল; কেননা আজ তোমরা আমার সঙ্গে ভোজন করবে; সকালে আমি তোমাকে বিদায় করবো এবং তোমার মনের সমস্ত কথা তোমাকে জানাবো।
20. আর আজ তিন দিন হল, তোমার যেসব গাধী হারিয়েছে, তাদের জন্য চিন্তিত হয়ো না; সেসব পাওয়া গেছে। আর ইসরাইলের সমস্ত বাঞ্ছনীয় দ্রব্য কার? সেই সমস্ত কি তোমার এবং তোমার সমস্ত পিতৃকুলের নয়?
21. তালুত জবাবে বললেন, আমি কি ইসরাইল-বংশগুলোর মধ্যে ক্ষুদ্রতম বিন্ইয়ামীন-বংশীয় নই? আবার বিন্ইয়ামীন-বংশের মধ্যে আমার গোষ্ঠী কি সবচেয়ে ক্ষুদ্র নয়? তবে আপনি আমাকে কেন এই রকম কথা বলেন?
22. পরে শামুয়েল তালুত ও তাঁর ভৃত্যকে নিয়ে খাবার বাড়িতে গেলেন, অনুমান ত্রিশ জন দাওয়াত পাওয়া লোকদের মধ্যে তাঁদেরকে উত্তম স্থানে বসালেন।
23. পরে শামুয়েল পাচককে বললেন, আমি যে অংশ তোমাকে দিয়ে তোমার কাছ রাখতে বলেছিলাম, তা নিয়ে এসো।
24. তাতে পাচক ঊরু ও তার উপরে যা ছিল তা এনে তালুতের সম্মুখে রাখল। আর শামুয়েল বললেন, দেখ, এটি তোমার জন্য রাখা হয়েছিল; তুমি এটি তোমার সম্মুখে রাখ, ভোজন কর; কেননা নির্দিষ্ট সময়ের অপেক্ষাতে এটি তোমার জন্য রাখা গেছে, আমি বলেছিলাম যে, আমি লোকদের দাওয়াত করেছি। তাতে সেদিন তালুত শামুয়েলের সঙ্গে আহার করলেন।
25. পরে তাঁরা উচ্চস্থলী থেকে নগরে নেমে গেলে শামুয়েল বাড়ির ছাদের উপরে তালুতের সঙ্গে কথাবার্তা বললেন।