2. আর ফিলিস্তিনীরা তালুত ও তাঁর পুত্রদের পিছনে পিছনে তাড়া করলো এবং ফিলিস্তিনীরা যোনাথন, অবীনাদব ও মল্কীশূয়কে, তালুতের এই পুত্রদের হত্যা করলো।
3. পরে তালুতের বিরুদ্ধে ঘোরতর যুদ্ধ হল, আর তীরন্দাজেরা তাঁর নাগল পেল; সেই তীরন্দাজদের দ্বারা সাংঘাতিকভাবে আহত হলেন।
4. আর তালুত তাঁর অস্ত্রবাহককে বললেন, তোমার তলোয়ার খোল, তা দিয়ে আমাকে বিদ্ধ কর; নতুবা কি জানি, ঐ খৎনা-না-করানো লোকেরা এসে আমাকে বিদ্ধ করে আমার অপমান করবে। কিন্তু তাঁর অস্ত্রবাহক তা করতে চাইল না, কারণ সে ভীষণ ভয় পেয়েছিল; অতএব তালুত নিজের তলোয়ার নিয়ে নিজেই তার উপরে পড়লেন।
5. আর তালুত মারা গেছেন দেখে তাঁর অস্ত্রবাহকও তার তলোয়ারের উপরে পড়ে তাঁর সঙ্গে মারা গেল।
6. এইভাবে সেদিন তালুত, তাঁর তিন পুত্র, তাঁর অস্ত্রবাহক ও তাঁর সমস্ত লোক একসঙ্গে মারা পড়লেন।
7. পরে ইসরাইলের যে লোকেরা উপত্যকার ওপারে ও জর্ডানের ওপারে ছিল, তারা যখন দেখতে পেল যে, বনি-ইসরাইলরা পালিয়ে গেছে এবং তালুত ও তাঁর পুত্ররা মারা গেছেন, তখন তারা সমস্ত নগর পরিত্যাগ করে পালিয়ে গেল, আর ফিলিস্তিনীরা এসে সেসব নগর মধ্যে বাস করতে লাগল।
8. পরের দিন ফিলিস্তিনীরা নিহত লোকদের পোশাকাদি খুলে নিতে এসে গিল্বোয় পর্বতে মরে পড়ে থাকা তালুত ও তাঁর তিন পুত্রের লাশ দেখতে পেল।
9. তারা তাঁর মাথা কেটে ফেলল ও সাজ-পোশাক খুলে নিল এবং তাদের দেবালয়ে ও লোকদের মধ্যে সেই সুখবর জানবার জন্য ফিলিস্তিনীদের দেশের সর্বত্র প্রেরণ করলো।
10. পরে তাঁর সাজ-পোশাক অষ্টারোৎ দেবীদের মন্দিরে রাখল এবং তাঁর লাশ বৈৎ-শানের প্রাচীরে টাঙ্গিয়ে দিল।
11. পরে যখন যাবেশ-গিলিয়দ নিবাসীরা তালুতের প্রতি ফিলিস্তিনীদের কৃত সেই কাজের সংবাদ পেল,
12. তখন সমস্ত বিক্রমশালী লোক উঠলো এবং সমস্ত রাত হেঁটে গিয়ে তালুত ও তাঁর পুত্রদের লাশ বৈৎ-শানের প্রাচীর থেকে নামাল, আর যাবেশে এসে সেখানে তাঁদের লাশ পুড়িয়ে দিল।
13. আর তারা তাঁদের অস্থি নিয়ে যাবেশস্থ ঝাউ গাছের তলায় পুঁতে রাখল; পরে সাত দিন রোজা রেখে কাটাল।