6. তখন দাউদ ভীষণ ব্যাকুল হয়ে পড়লেন, কারণ প্রত্যেক জনের মন নিজ নিজ পুত্র কন্যার জন্য শোকাকুল হওয়াতে লোকেরা দাউদকে পাথর ছুঁড়ে মারার কথা বলতে লাগল; তবুও দাউদ তাঁর আল্লাহ্ মাবুদের উপর ভরসা করে নিজেকে সবল করলেন।
7. পরে দাউদ অহীমেলকের পুত্র অবিয়াথর ইমামকে বললেন, আরজ করি, এখানে আমার কাছে এফোদ আন, তাতে অবিয়াথর দাউদের কাছে এফোদ আনলেন।
8. তখন দাউদ মাবুদের কাছে এই কথা জিজ্ঞাসা করলেন, ঐ সৈন্যদলের পিছনে পিছনে গেলে আমি কি তাদের নাগাল পাব? তিনি তাঁকে বললেন, তাদের পিছনে পিছনে তাড়া করে যাও, নিশ্চয়ই তাদের নাগাল পাবে ও সকলকে উদ্ধার করবে।
9. তখন দাউদ ও তাঁর সঙ্গী ছয় শত লোক গিয়ে বিষোর স্রোতে উপস্থিত হলে কতগুলো লোককে সেখানে রাখা হল;
10. কিন্তু দাউদ ও তাঁর সঙ্গী চার শত লোক দুশমনদের পিছনে পিছনে তাড়া করে গেলেন; কারণ দুই শত লোক ক্লান্তির জন্য বিষোর স্রোত পার হতে না পারাতে সেই স্থানে রইলো।
11. পরে তারা মাঠের মধ্যে এক জন মিসরীয়কে পেয়ে তাকে দাউদের কাছে আনলো এবং তাকে রুটি দিলে সে ভোজন করলো, আর তারা তাকে পানি পান করতে দিল;
12. আর তারা ডুমুরচাকের এক খণ্ড ও দুই থলুয়া শুকনো আঙ্গুর তাকে দিল এবং তা খাওয়ার পর তার প্রাণ সতেজ হল, কেননা তিন দিন ও তিন রাত সে রুটি ভোজন বা পানি পান করে নি।
13. পরে দাউদ তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কার লোক? কোথা থেকে আসলে? সে বললো, আমি এক জন মিসরীয় যুবক, এক জন আমালেকীয়ের গোলাম; আজ তিন দিন হল, আমি অসুস্থ হয়েছিলাম বলে আমার মালিক আমাকে ত্যাগ করে চলে গেলেন।
14. আমরা করেথীয়দের দক্ষিণাঞ্চলে, এহুদার অধিকারে ও কালেবের অধিকারের দক্ষিণাঞ্চলে চড়াও হয়েছিলাম, আর সিক্লগ আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছিলাম।
15. পরে দাউদ তাকে বললেন, সেই দলের কাছে কি আমাকে পৌঁছে দেবে? সে বললো, আপনি আমার কাছে আল্লাহ্র নামে কসম করুন যে, আমাকে হত্যা করবেন না, বা আমার মালিকের হাতে আমাকে তুলে দেবেন না, তা হলে আমি সেই দলের কাছে আপনাকে পৌঁছে দেব।
16. পরে যখন সে তাঁকে সেই দলের কাছে পৌঁছে দিল, তখন তারা সমস্ত ভূমিতে ছড়িয়ে ছিল। ভোজন পান ও উৎসব করছিল, কারণ ফিলিস্তিনীদের দেশ ও এহুদার দেশ থেকে তারা প্রচুর লুণ্ঠিত দ্রব্য এনেছিল।