11. আমি কি আমার রুটি, পানি ও আমার ভেড়ার লোম ছাঁটাইকারীদের জন্য যেসব পশু মেরেছি, তাদের গোশ্ত নিয়ে অজ্ঞাত কোন স্থানের লোকদের দেব?
12. তখন দাউদের লোকজন মুখ ফিরিয়ে নিজেদের পথে চলে এল এবং তাঁর কাছে ফিরে এসে ঐ সমস্ত কথা তাঁকে বললো।
13. তখন দাউদ তাঁর লোকদের বললেন, তোমরা প্রত্যেকে তলোয়ার বাঁধ। তাতে তাঁরা প্রত্যেকে নিজ নিজ তলোয়ার বাঁধল এবং দাউদও তাঁর তলোয়ার বাঁধলেন। পরে দাউদের পিছনে পিছনে চার শত লোক গেল এবং দ্রব্য সামগ্রী রক্ষা করার জন্য দুই শত লোক রইলো।
14. ইতোমধ্যে যুবকদের এক জন নাবলের স্ত্রী অবীগলকে সংবাদ দিয়ে বললো, দেখুন, দাউদ আমাদের মালিককে শুভেচ্ছা জানাতে মরুভূমি থেকে দূতদের পাঠিয়েছিলেন, কিন্তু তিনি তাদের অপমান করেছেন।
15. অথচ সেই লোকেরা আমাদের পক্ষে বড়ই ভাল ছিল; যখন আমরা মাঠে ছিলাম, তখন যতদিন তাদের সঙ্গে ছিলাম ততদিন আমাদের অপকার হয় নি, কিছু হারায়ও নি।
16. আমরা যত দিন তাদের কাছে থেকে ভেড়া রক্ষা করছিলাম, তারা দিনরাত আমাদের চারদিকে প্রাচীরস্বরূপ ছিল।
17. অতএব এখন আপনার কি কর্তব্য তা বিবেচনা করে বুঝুন, কেননা আমাদের মালিক ও তাঁর সমস্ত কুলের বিরুদ্ধে অমঙ্গল স্থির হয়েছে; কিন্তু তিনি এমন পাষণ্ড যে, তাঁকে কোন কথা বলতে পারা যায় না।
18. তখন অবীগল শীঘ্র দুই শত রুটি, দুই কূপা আঙ্গুর-রস, পাঁচটা প্রস্তুত ভেড়া, পাঁচ কাঠা ভাজা শস্য, এক শত তাল শুকনো আঙ্গুর ফল ও দুই শত ডুমুর-চাক নিয়ে গাধার উপরে চাপাল।
19. আর সে তাঁর ভৃত্যদের বললো, তোমরা আমার আগে আগে চল, দেখ, আমি তোমাদের পিছনে যাচ্ছি। কিন্তু সে তাঁর স্বামী নাবলকে তা জানাল না।
20. পরে সে গাধার পিঠে চড়ে পর্বতের ঢাল বেয়ে নেমে যাচ্ছিল, ইতোমধ্যে দেখ, দাউদ তাঁর লোকদের সঙ্গে তার সম্মুখে নেমে আসলেন, তাতে সে তাঁদের সম্মুখে গিয়ে পড়লেন।
21. দাউদ বলেছিলেন, মরুভূমিস্থিত ওর সমস্ত বস্তু আমি বৃথাই পাহারা দিয়েছি যাতে ওর যা কিছু সেখানে আছে তার কিছুই চুরি না হয়। কিন্তু সে উপকারের পরিবর্তে আমার অপকার করেছে।
22. যদি আমি ওর সম্পর্কীয় পুরুষদের মধ্যে এক জনকেও রাত প্রভাত পর্যন্ত জীবিত রাখি, তবে আল্লাহ্ যেমন দাউদের দুশমনদের প্রতি করেন তার চেয়েও বেশি দণ্ড দাউদকে দেন।