10. পরে দাউদ বললেন, হে মাবুদ, ইসরাইলের আল্লাহ্, তালুত আমার জন্য কিয়ীলাতে এসে এই নগর উচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করছেন, তোমার গোলাম আমি এই কথা শুনতে পেলাম।
11. কিয়ীলার গৃহস্থেরা কি তাঁর হাতে আমাকে তুলে দেবে? তোমার গোলাম আমি যেরকম শুনলাম, সেভাবে তালুত কি আসবেন? হে মাবুদ, ইসরাইলের আল্লাহ্, আরজ করি, তোমার গোলামকে তা বল। মাবুদ বললেন, সে আসবে।
12. দাউদ জিজ্ঞাসা করলেন, কিয়ীলার গৃহস্থেরা কি আমাকে ও আমার লোকদের তালুতের হাতে তুলে দেবে? মাবুদ বললেন, তুলে দেবে।
13. তখন দাউদ ও তাঁর লোকেরা অনুমান ছয় শত লোক, উঠে কিয়ীলা থেকে বের হয়ে যে যেখানে যেতে পারল, গেল; আর তালুতকে যখন বলা হল যে, দাউদ কিয়ীলা থেকে পালিয়ে গেছে তখন তিনি আর সেখানে গেলেন না।
14. পরে দাউদ মরু-ভূমিতে নানা সুরক্ষিত স্থানে বাস করলেন, সীফ মরুভূমিতে পাহাড়ী অঞ্চলে রইলেন। আর তালুত প্রতিদিন তাঁর খোঁজ করলেন, কিন্তু আল্লাহ্ তাঁর হাতে তাঁকে তুলে দিলেন না।
15. আর দাউদ দেখলেন যে, তালুত আমার প্রাণনাশের চেষ্টায় বের হয়ে এসেছেন। সেই সময় দাউদ সীফ মরুভূমিতে বনে ছিলেন।
16. আর তালুতের পুত্র যোনাথন হরেশে দাউদের কাছে গিয়ে মাবুদের মধ্য দিয়ে তাঁর হাত শক্তিশালী করলেন।
17. আর তিনি তাঁকে বললেন, ভয় করো না, আমার পিতা তালুতের হাতে তুমি ধরা পড়বে না, আর তুমি ইসরাইলের উপরে বাদশাহ্ হবে এবং আমি তোমার দ্বিতীয় হব, এই কথা আমার পিতা তালুতও জানেন।
18. পরে তাঁরা দু’জন মাবুদের সাক্ষাতে নিয়ম স্থির করলেন। আর দাউদ হরেশেই থাকলেন কিন্তু যোনাথন নিজের বাড়িতে চলে গেলেন।
19. পরে সীফীয়েরা গিবিয়াতে তালুতের কাছে গিয়ে বললো, দাউদ কি আমাদের কাছে যিশীমোনের দক্ষিণে হখীলা পাহাড়ের হরেশের কোন সুরক্ষিত স্থানে লুকিয়ে নেই?