23. আর দেখ, তোমার ও আমার এই কথাবার্তার বিষয়ে মাবুদ যুগে যুগে আমার ও তোমার মধ্যবর্তী।
24. পরে দাউদ ক্ষেতে লুকিয়ে রইলেন, ইতোমধ্যে অমাবস্যা উৎসব উপস্থিত হলে বাদশাহ্ ভোজনে বসলেন।
25. বাদশাহ্ অন্য সময়ের মত তাঁর আসনে অর্থাৎ দেয়ালের নিকটস্থ আসনে বসলেন। যোনাথন উঠে দাঁড়ালেন এবং অব্নের তালুতের পাশে বসলেন; কিন্তু দাউদের স্থান শূন্য থাকলো।
26. তবুও সেদিন তালুত কিছুই বললেন না, কেননা মনে মনে ভাবলেন, তার কিছু হয়েছে, সে হয়তো পাক-সাফ নয়, সে অবশ্য নাপাক হয়ে থাকবে।
27. কিন্তু পরের দিন, মাসের দ্বিতীয় দিনে, দাউদের স্থান শূন্য থাকাতে তালুত তাঁর পুত্র যোনাথনকে জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়াসিরের পুত্র গতকাল ও আজ ভোজনে আসে নি কেন?
28. যোনাথন তালুতকে জবাবে বললেন, দাউদ বেথেলহেমে যাবার জন্য আমার কাছে অনেক মিনতি করেছিল;
29. সে বলেছিল, অনুগ্রহ করে আমাকে যেতে দাও, কেননা নগরে আমাদের গোষ্ঠীর একটি কোরবানীর অনুষ্ঠান আছে এবং আমার ভাই আমাকে যেতে হুকুম করেছেন; অতএব আরজ করি, আমি যদি তোমার দৃষ্টিতে অনুগ্রহ লাভ করে থাকি, তবে আমি গিয়ে আমার জ্ঞাতিদের দেখে আসি। এজন্য সে বাদশাহ্র ভোজে আসে নি।
30. তখন যোনাথনের প্রতি তালুতের ক্রোধ প্রজ্বলিত হল, তিনি তাঁকে বললেন, ওহে জারজ সন্তান, বিদ্রোহিনী স্ত্রীর পুত্র, আমি কি জানি না যে, তুই তোর লজ্জা ও তোর মায়ের লজ্জা জন্মাতে ইয়াসির পুত্রকে মনোনীত করেছিস?
31. ফলে ইয়াসির পুত্র যতদিন ভূতলে থাকবে, ততদিন তুই স্থির থাকবি না, তোর রাজ্যও স্থির থাকবে না। অতএব এখন লোক পাঠিয়ে তাকে আমার কাছে নিয়ে আয়, কেননা সে মৃত্যুর সন্তান।
32. তাতে যোনাথন জবাবে তাঁর পিতা তালুতকে বললেন, সে কেন হত হবে? সে কি করেছে?
33. তখন তালুত তাঁকে আঘাত করার জন্য তাঁর দিকে তাঁর বর্শা নিক্ষেপ করলেন; এতে যোনাথন জানতে পারলেন যে, তাঁর পিতা দাউদকে হত্যা করতে মনস্থ করেছেন।
34. তখন যোনাথন মহাক্রুদ্ধ হয়ে আসন থেকে উঠলেন, মাসের দ্বিতীয় দিনে আহার করলেন না; কেননা দাউদের জন্য তাঁর দুঃখ হল, কারণ তাঁর পিতা দাউদকে অপমান করেছিলেন।
35. পরে খুব ভোরে যোনাথন একটি ছোট বালককে সঙ্গে নিয়ে ক্ষেতে, দাউদের সঙ্গে যে স্থান নির্ধারিত হয়েছিল সেখানে গেলেন।
36. পরে তিনি বালকটিকে বললেন, আমি যে কয়েকটি তীর নিক্ষেপ করবো, তুমি দৌড়ে গিয়ে তা কুড়িয়ে আন। তাতে বালকটি দৌড়ালে তিনি তার ওদিকে পড়বার মত তীর নিক্ষেপ করলেন।
37. আর বালকটি যোনাথনের নিক্ষিপ্ত তীরের কাছে উপস্থিত হলে যোনাথন বালকটিকে ডেকে বললেন, তোমার ওদিকে কি তীর নেই?
38. আবার যোনাথন বালককে ডেকে বললেন, শীঘ্র দৌড়ে যাও, বিলম্ব করো না। তখন যোনাথনের সেই বালক তীরগুলো কুড়িয়ে নিয়ে তাঁর মালিকের কাছে এল।
39. কিন্তু বালকটি কিছুই বুঝল না, কেবল যোনাথন ও দাউদ সেই বিষয় জানতেন।
40. পরে যোনাথন তাঁর তীর ধনুকাদি বালকটিকে দিয়ে বললেন, এইগুলো নগরে নিয়ে যাও।
41. বালকটি চলে যাওয়া মাত্র দাউদ দক্ষিণ দিক্স্থ কোন স্থান থেকে উঠে এসে তিনবার ভূমিতে উবুড় হয়ে পড়ে সালাম করলেন এবং তাঁরা দু’জনে পরস্পর চুম্বন করে কাঁদতে লাগলেন, কিন্তু দাউদ বেশি কাঁদলেন।
42. পরে যোনাথন দাউদকে বললেন, সহিসালামতে যাও, আমরা তো দু’জন মাবুদের নামে এই কসম খেয়েছি যে, মাবুদ যুগে যুগে আমার ও তোমার মধ্যবর্তী এবং আমার বংশের ও তোমার বংশের মধ্যবর্তী থাকবেন। পরে তিনি উঠে প্রস্থান করলেন, আর যোনাথন নগরে চলে গেলেন।