7. মাবুদ দরিদ্র করেন ও ধনী করেন,তিনি নত করেন ও উন্নত করেন।
8. তিনি ধূলি থেকে দীনহীনকে তোলেন,সারের ঢিবি থেকে দরিদ্রকে উঠান,কুলীনদের সঙ্গে বসিয়ে দেন,মহিমা-সিংহাসনের অধিকারী করেন।কেননা দুনিয়ার সমস্ত স্তম্ভ মাবুদের;তিনি সেই সবের উপরে দুনিয়া স্থাপন করেছেন।
9. তিনি তাঁর বিশ্বস্তদের চরণ রক্ষা করবেন,কিন্তু দুষ্টদেরকে অন্ধকারে স্তব্ধ করা হবে;কেননা শক্তিতে কোন মানুষ জয়ী হবে না।
10. মাবুদের সঙ্গে বিবাদকারীরা চুরমার হয়ে যাবে;তিনি বেহেশতে থেকে তাদের উপরে বজ্রনাদ করবেন;মাবুদ দুনিয়ার প্রান্ত পর্যন্ত শাসন করবেন,তিনি তাঁর বাদশাহ্কে বল দেবেন,তাঁর অভিষিক্ত ব্যক্তির মাথা উন্নত করবেন।
11. পরে ইল্কানা রামায় তাঁর বাড়িতে গেলেন। আর বালকটি আলী ইমামের সম্মুখে মাবুদের পরিচর্যা করতে লাগলেন।
12. আলীর দুই পুত্র পাষণ্ড ছিল, তারা মাবুদকে জানত না।
13. বাস্তবিক ঐ ইমামেরা লোকদের সঙ্গে এরকম ব্যবহার করতো; কেউ কোরবানী করলে যখন তার গোশ্ত সিদ্ধ করা হত, তখন ইমামের ভৃত্য তিন কাঁটাযুক্ত শূল হাতে করে আসত;
14. এবং বাটিতে কিংবা হাঁড়িতে কিংবা কড়াইতে কিংবা পাত্রে তা মারত; আর সেই শূলে যা উঠতো, তা সকলই ইমাম শূলে করে নিয়ে যেত; ইসরাইলের যত লোক শীলোতে আসত, তাদের প্রত্যেকের প্রতি তারা এরকম ব্যবহার করতো।
15. আবার চর্বি না পোড়াতেই ইমামের ভৃত্য এসে যজমানকে বলতো, ইমামকে শূল্য গোশ্ত দাও; সে তোমা থেকে সিদ্ধ গোশ্ত নেবে না, কাঁচাই নেবে।
16. আর ঐ ব্যক্তি যখন বলতো, প্রথমে চর্বি পুড়িয়ে দিতে হবে, তারপর তোমার প্রাণের অভিলাষ অনুসারে গ্রহণ করো, তখন সে জবাবে বলতো, না, এখনই দাও, নতুবা কেড়ে নেব।
17. এভাবে মাবুদের সাক্ষাতে ঐ যুবকদের গুনাহ্ অতিশয় ভারী হল, কেননা তারা মাবুদের নৈবেদ্য অবজ্ঞা করতো।
18. কিন্তু বালক শিশুপুত্র শামুয়েল মসীনা-সূতার এফোদ পরে মাবুদের সম্মুখে পরিচর্যা করতেন।
19. আর তাঁর মা প্রতি বছর এক একখানি ছোট পোশাক প্রস্তুত করে স্বামীর সঙ্গে বার্ষিক কোরবানী করার জন্য আসার সময়ে তা এনে তাঁকে দিতেন।
20. আর আলী ইল্কানা ও তাঁর স্ত্রীকে এই দোয়া করলেন, মাবুদকে যা দেওয়া হয়েছিল, তার পরিবর্তে তিনি এই স্ত্রী থেকে তোমাকে আরও সন্তান দিন।
21. পরে তাঁরা স্বস্থানে প্রস্থান করলেন। আর মাবুদ হান্নাকে দোয়া করলেন; তাতে তিনি গর্ভবতী হলেন, আর তিনি তিন পুত্র ও দুই কন্যা প্রসব করলেন। ইতোমধ্যে বালক শামুয়েল মাবুদের সাক্ষাতে বেড়ে উঠতে লাগলেন।
22. আর আলী অতিশয় বৃদ্ধ হলেন এবং সমস্ত ইসরাইলের প্রতি তাঁর পুত্রেরা যা যা করে, সেসব কথা এবং জমায়েত-তাঁবুর দরজার কাছে সেবা করার জন্য যে সমস্ত স্ত্রীলোক আসত তাদের সঙ্গে তারা শয়ন করে, সেই কথা তিনি শুনতে পেলেন।
23. তখন তিনি তাদের বললেন, তোমরা কেন এমন ব্যবহার করছো? আমি এ সব লোকের কাছে তোমাদের মন্দ আচরণের কথা শুনতে পাচ্ছি।
24. হে আমার পুত্ররা, না না, আমি যে জনরব শুনতে পাচ্ছি, তা ভাল নয়; তোমরা মাবুদের লোকদেরকে হুকুম লঙ্ঘন করাচ্ছ।
25. মানুষ যদি মানুষের বিরুদ্ধে গুনাহ্ করে, তবে আল্লাহ্ তার বিচার করবেন; কিন্তু মানুষ যদি মাবুদের বিরুদ্ধে গুনাহ্ করে, তবে তার জন্য কে ফরিয়াদ করবে? তবুও তারা পিতার কথায় কান দিত না, কেননা তাদের হত্যা করা মাবুদের অভিপ্রেত ছিল।
26. কিন্তু বালক শামুয়েল উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়ে মাবুদের ও মানুষের অনুগ্রহ লাভ করতে থাকলেন।
27. পরে আল্লাহ্র এক জন লোক আলীর কাছে এসে বললেন, মাবুদ এই কথা বলেন, যে সময়ে তোমার পিতার কুল মিসরে ফেরাউন-কুলের অধীন ছিল, তখন আমি না প্রত্যক্ষরূপে তাদের দর্শন দিয়েছিলাম?