8. পরে পুনর্বার যুদ্ধ উপস্থিত হলে দাউদ বের হয়ে ফিলিস্তিনীদের সঙ্গে যুদ্ধ করলেন, তিনি মহাবিক্রমে তাদের সংহার করলেন এবং তারা তাঁর সম্মুখ থেকে পালিয়ে গেল।
9. আর মাবুদের কাছ থেকে একটি দুষ্ট রূহ্ সবলে তালুতের উপরে এল; তখন তালুত তাঁর বাড়িতে বসে ছিলেন, তাঁর হাতে তাঁর বর্শা ছিল; আর দাউদ বাদ্য বাজাচ্ছিলেন;
10. এমন সময় তালুত বর্শা দিয়ে দাউদকে দেয়ালের সঙ্গে গেঁথে ফেলতে চেষ্টা করলেন; কিন্তু তিনি তালুতের সম্মুখ থেকে সরে যাওয়াতে তাঁর বর্শা দেয়ালে ঢুকে গেল এবং দাউদ সেই রাতে পালিয়ে রক্ষা পেলেন।
11. পরে তালুত দাউদের বাড়ির কাছে দূতদের পাঠালেন, যেন তারা তাঁর উপরে দৃষ্টি রাখে, আর খুব ভোরে তাঁকে হত্যা করে। কিন্তু দাউদের স্ত্রী মীখল তাঁকে সংবাদ দিয়ে বললেন, তুমি যদি এই রাতে নিজের প্রাণ রক্ষা না কর, তবে কাল মারা পড়বে।
12. আর মীখল জানালা দিয়ে দাউদকে নামিয়ে দিলেন; তাতে তিনি পালিয়ে গিয়ে রক্ষা পেলেন।
13. আর মীখল দেবমূর্তিগুলো নিয়ে বিছানায় শুইয়ে দিলেন এবং ছাগলের লোমের একটা লেপ তার মাথায় দিয়ে কাপড় দিয়ে তা ঢেকে রাখলেন।
14. পরে তালুত দাউদকে ধরতে দূতদের পাঠালে মীখল বললেন, তিনি অসুস্থ আছেন।
15. তাতে তালুত দাউদকে দেখবার জন্য সেই দূতদের পাঠিয়ে দিয়ে বললেন, তাকে পালঙ্কে করে আমার কাছে আন, আমি তাকে হত্যা করবো।
16. পরে দূতেরা যখন ভিতরে গেল, দেখ, পালঙ্কে সেই দেবমূর্তিগুলো ও তার মাথায় ছাগলের লোমের লেপ রয়েছে।
17. তখন তালুত মীখলকে বললেন, তুমি আমাকে কেন এভাবে আমাকে ঠকালে? তুমি আমার দুশমনকে ছেড়ে দেওয়াতে সে পালিয়ে গেছে। তাতে মীখল তালুতকে জবাবে বললেন, তিনি বলেছিলেন, আমাকে যেতে দাও, আমি তোমাকে কেন হত্যা করবো?
18. ইতোমধ্যে দাউদ পালিয়ে গিয়ে রক্ষা পেলেন এবং রামাতে শামুয়েলের কাছে গিয়ে তাঁর প্রতি তালুতের কৃত সমস্ত ব্যবহারের কথা জানালেন, পরে তিনি ও শামুয়েল গিয়ে নায়োতে বাস করলেন।
19. পরে কেউ তালুতকে বললো, দেখুন, দাউদ রামাস্থ নায়োতে আছেন।
20. তখন তালুত দাউদকে ধরবার জন্য দূতদের পাঠালেন, তাতে যখন দূতেরা ভাবোক্তি তবলিগকারী নবীর দলকে ও তাদের নেতারূপে দণ্ডায়মান শামুয়েলকে দেখলো, তখন আল্লাহ্র রূহ্ তালুতের দূতদের উপরে আসলেন, তাতে তারাও ভাবোক্তি তবলিগ করতে লাগল।