5. সে তো প্রাণ হাতে করে সেই ফিলিস্তিনীকে আঘাত করলো, আর মাবুদ সমস্ত ইসরাইলের পক্ষে মহানিস্তার সাধন করলেন; আপনি তা দেখে আনন্দ করেছিলেন; অতএব এখন অকারণে দাউদকে হত্যা করে কেন নির্দোষের রক্তপাতের গুনাহ্ করবেন?
6. তখন তালুত যোনাথনের কথা শুনলেন এবং তিনি কসম খেয়ে বললেন, জীবন্ত মাবুদের কসম, তাকে হত্যা করা হবে না।
7. পরে যোনাথন দাউদকে ডেকে ঐ সমস্ত কথা তাঁকে জানালেন। আর যোনাথন দাউদকে তালুতের কাছে আনলেন, তাতে তিনি আগের মত তাঁর কাছে থাকলেন।
8. পরে পুনর্বার যুদ্ধ উপস্থিত হলে দাউদ বের হয়ে ফিলিস্তিনীদের সঙ্গে যুদ্ধ করলেন, তিনি মহাবিক্রমে তাদের সংহার করলেন এবং তারা তাঁর সম্মুখ থেকে পালিয়ে গেল।
9. আর মাবুদের কাছ থেকে একটি দুষ্ট রূহ্ সবলে তালুতের উপরে এল; তখন তালুত তাঁর বাড়িতে বসে ছিলেন, তাঁর হাতে তাঁর বর্শা ছিল; আর দাউদ বাদ্য বাজাচ্ছিলেন;
10. এমন সময় তালুত বর্শা দিয়ে দাউদকে দেয়ালের সঙ্গে গেঁথে ফেলতে চেষ্টা করলেন; কিন্তু তিনি তালুতের সম্মুখ থেকে সরে যাওয়াতে তাঁর বর্শা দেয়ালে ঢুকে গেল এবং দাউদ সেই রাতে পালিয়ে রক্ষা পেলেন।
11. পরে তালুত দাউদের বাড়ির কাছে দূতদের পাঠালেন, যেন তারা তাঁর উপরে দৃষ্টি রাখে, আর খুব ভোরে তাঁকে হত্যা করে। কিন্তু দাউদের স্ত্রী মীখল তাঁকে সংবাদ দিয়ে বললেন, তুমি যদি এই রাতে নিজের প্রাণ রক্ষা না কর, তবে কাল মারা পড়বে।
12. আর মীখল জানালা দিয়ে দাউদকে নামিয়ে দিলেন; তাতে তিনি পালিয়ে গিয়ে রক্ষা পেলেন।
13. আর মীখল দেবমূর্তিগুলো নিয়ে বিছানায় শুইয়ে দিলেন এবং ছাগলের লোমের একটা লেপ তার মাথায় দিয়ে কাপড় দিয়ে তা ঢেকে রাখলেন।
14. পরে তালুত দাউদকে ধরতে দূতদের পাঠালে মীখল বললেন, তিনি অসুস্থ আছেন।
15. তাতে তালুত দাউদকে দেখবার জন্য সেই দূতদের পাঠিয়ে দিয়ে বললেন, তাকে পালঙ্কে করে আমার কাছে আন, আমি তাকে হত্যা করবো।
16. পরে দূতেরা যখন ভিতরে গেল, দেখ, পালঙ্কে সেই দেবমূর্তিগুলো ও তার মাথায় ছাগলের লোমের লেপ রয়েছে।
17. তখন তালুত মীখলকে বললেন, তুমি আমাকে কেন এভাবে আমাকে ঠকালে? তুমি আমার দুশমনকে ছেড়ে দেওয়াতে সে পালিয়ে গেছে। তাতে মীখল তালুতকে জবাবে বললেন, তিনি বলেছিলেন, আমাকে যেতে দাও, আমি তোমাকে কেন হত্যা করবো?