21. তালুত বললেন, আমি তাকে সেই কন্যা দেব; সে তাঁর ফাঁদস্বরূপ হোক ও ফিলিস্তিনীদের হাত তাঁর উপরে উঠুক। অতএব তালুত দাউদকে বললেন, তুমি আজ দ্বিতীয়বার আমার জামাতা হও।
22. পরে তালুত তাঁর গোলামদের হুকুম দিলেন, তোমরা গোপনে দাউদের সঙ্গে আলাপ করে এই কথা বল, দেখ, তোমার প্রতি বাদশাহ্ সন্তুষ্ট এবং তাঁর সমস্ত গোলাম তোমাকে ভালবাসে; অতএব এখন তুমি বাদশাহ্র জামাতা হও।
23. তালুতের গোলামেরা এই কথা দাউদের কর্ণগোচর করলো। দাউদ বললেন, বাদশাহ্র জামাতা হওয়া কি তোমাদের কাছে লঘু বিষয় মনে হয়? আমি তো দরিদ্র লোক, তাচ্ছিল্যের পাত্র।
24. পরে তালুতের গোলামেরা তাঁকে সংবাদ দিয়ে বললো, দাউদ এই রকম কথা বলেন।
25. তালুত বললেন, তোমরা দাউদকে এই কথা বল, বাদশাহ্ কোন পণ চান না, কেবল বাদশাহ্র দুশমনদের প্রতিশোধের জন্য ফিলিস্তিনীদের এক শত লিঙ্গাগ্রত্বক্ চান। তালুত মনে করলেন, ফিলিস্তিনীদের হাত দিয়ে দাউদকে নিপাত করা যাবে।
26. পরে তাঁর গোলামেরা দাউদকে সেই কথা জানালে দাউদ রাজ-জামাতা হতে তুষ্ট হলেন। তখনও কাল সমপূর্ণ হয় নি;
27. দাউদ তাঁর লোকদের সঙ্গে উঠে গিয়ে দুই শত ফিলিস্তিনীকে হত্যা করলেন এবং বাদশাহ্র জামাতা হবার জন্য দাউদ পূর্ণ সংখ্যা অনুসারে তাদের লিঙ্গাগ্রত্বক্ এনে বাদশাহ্কে দিলেন; পরে তালুত তাঁর সঙ্গে তাঁর কন্যা মীখলের বিয়ে দিলেন।
28. আর তালুত বুঝতে পারলেন যে, মাবুদ দাউদের সহবর্তী এবং তালুতের কন্যা মীখল তাঁকে মহব্বত করেন।
29. তাতে তালুত দাউদের বিষয়ে আরও ভয় পেলেন, আর তালুত সব সময়ই দাউদের দুশমন থাকলেন।
30. পরে ফিলিস্তিনীদের নেতৃবর্গ যুদ্ধ করবার জন্য বের হতে লাগলেন; কিন্তু যতবার বের হলেন, ততবার তালুতের গোলামদের মধ্যে দাউদ সবচেয়ে বেশি বুদ্ধিপূর্বক চললেন, তাতে তাঁর নাম অতিশয় সম্মানিত হল।