15. তিনি বেশ বুদ্ধিপূর্বক চলছেন দেখে তালুত তাঁকে ভয়ের চোখে দেখতে লাগলেন।
16. কিন্তু সমস্ত ইসরাইল ও এহুদার লোকেরা দাউদকে ভালবাসত, কেননা তিনি তাদের সাক্ষাতে ভিতরে ও বাইরে গমনাগমন করতেন।
17. পরে তালুত দাউদকে বললেন, দেখ, আমার জ্যেষ্ঠা কন্যা মেরবকে আমি তোমার সঙ্গে বিয়ে দেব; তুমি কেবল আমার পক্ষে শক্তিশালী হয়ে মাবুদের জন্য যুদ্ধ কর। কারণ তালুত বললেন, আমার হাত তার উপরে না উঠুক, কিন্তু ফিলিস্তিনীদের হাত তার উপরে উঠুক।
18. আর দাউদ তালুতকে বললেন, আমি কে এবং আমার প্রাণ কি, ইসরাইলের মধ্যে আমার পিতার গোষ্ঠীই বা কি যে, আমি বাদশাহ্র জামাতা হই?
19. কিন্তু তালুতের কন্যা মেরবকে দাউদের সঙ্গে বিয়ে দেবার সময় উপস্থিত হলে তাকে মহোলাতীয় অদ্রীয়েলের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হল।
20. পরে তালুতের কন্যা মীখল দাউদকে মহব্বত করতে লাগলেন; তখন লোকেরা তালুতকে তা জানালে তিনি তাতে সন্তুষ্ট হলেন।
21. তালুত বললেন, আমি তাকে সেই কন্যা দেব; সে তাঁর ফাঁদস্বরূপ হোক ও ফিলিস্তিনীদের হাত তাঁর উপরে উঠুক। অতএব তালুত দাউদকে বললেন, তুমি আজ দ্বিতীয়বার আমার জামাতা হও।
22. পরে তালুত তাঁর গোলামদের হুকুম দিলেন, তোমরা গোপনে দাউদের সঙ্গে আলাপ করে এই কথা বল, দেখ, তোমার প্রতি বাদশাহ্ সন্তুষ্ট এবং তাঁর সমস্ত গোলাম তোমাকে ভালবাসে; অতএব এখন তুমি বাদশাহ্র জামাতা হও।
23. তালুতের গোলামেরা এই কথা দাউদের কর্ণগোচর করলো। দাউদ বললেন, বাদশাহ্র জামাতা হওয়া কি তোমাদের কাছে লঘু বিষয় মনে হয়? আমি তো দরিদ্র লোক, তাচ্ছিল্যের পাত্র।
24. পরে তালুতের গোলামেরা তাঁকে সংবাদ দিয়ে বললো, দাউদ এই রকম কথা বলেন।
25. তালুত বললেন, তোমরা দাউদকে এই কথা বল, বাদশাহ্ কোন পণ চান না, কেবল বাদশাহ্র দুশমনদের প্রতিশোধের জন্য ফিলিস্তিনীদের এক শত লিঙ্গাগ্রত্বক্ চান। তালুত মনে করলেন, ফিলিস্তিনীদের হাত দিয়ে দাউদকে নিপাত করা যাবে।
26. পরে তাঁর গোলামেরা দাউদকে সেই কথা জানালে দাউদ রাজ-জামাতা হতে তুষ্ট হলেন। তখনও কাল সমপূর্ণ হয় নি;
27. দাউদ তাঁর লোকদের সঙ্গে উঠে গিয়ে দুই শত ফিলিস্তিনীকে হত্যা করলেন এবং বাদশাহ্র জামাতা হবার জন্য দাউদ পূর্ণ সংখ্যা অনুসারে তাদের লিঙ্গাগ্রত্বক্ এনে বাদশাহ্কে দিলেন; পরে তালুত তাঁর সঙ্গে তাঁর কন্যা মীখলের বিয়ে দিলেন।
28. আর তালুত বুঝতে পারলেন যে, মাবুদ দাউদের সহবর্তী এবং তালুতের কন্যা মীখল তাঁকে মহব্বত করেন।