38. পরে তালুত নিজের সাজ-পোশাকে দাউদকে সাজিয়ে তাঁর মাথায় ব্রোঞ্জের শিরস্ত্রাণ ও শরীরে বর্ম দিলেন।
39. তখন দাউদ সাজ-পোশাকের উপরে তাঁর তলোয়ার বেঁধে চলতে চেষ্টা করলেন, কারণ এর আগে তা কখনও করেন নি। তখন দাউদ তালুতকে বললেন, এই বেশে আমি যেতে পারব না, কেননা এইভাবে চলতে আমার অভ্যেস নেই। পরে দাউদ তা খুলে রাখলেন।
40. আর তিনি তাঁর লাঠিখানা হাতে নিলেন এবং বয়ে যাওয়া পানির স্রোত থেকে পাঁচখানি মসৃণ পাথর বেছে নিয়ে, নিজের কাছে যে ভেড়ার রাখালের ঝুলি ছিল তাতে রাখলেন এবং নিজের ফিঙ্গাটি হাতে করে ঐ ফিলিস্তিনীর কাছে এগিয়ে গেলেন।
41. আর সেই ফিলিস্তিনী আসতে লাগল এবং দাউদের নিকটবর্তী হল, আর সেই ঢাল বহনকারী লোকটি তার আগে আগে চললো।
42. পরে ফিলিস্তিনী চারদিকে চেয়ে দেখলো, আর দাউদকে দেখতে পেয়ে তুচ্ছজ্ঞান করলো; কেননা তিনি বালক, কিছুটা লাল রংয়ের ও দেখতে সুন্দর ছিলেন।
43. পরে ঐ ফিলিস্তিনী দাউদকে বললো, আমি কি কুকুর যে, তুই লাঠি নিয়ে আমার কাছে আসছিস্? আর সেই ফিলিস্তিনী তার দেবতাদের নাম নিয়ে দাউদকে বদদোয়া দিল।
44. ফিলিস্তিনী দাউদকে আরও বললো, তুই আমার কাছে আয়, আমি তোর গোশ্ত আসমানের পাখিদের ও মাঠের পশুদেরকে খেতে দিই।
45. তখন দাউদ ঐ ফিলিস্তিনীকে বললেন, তুমি তলোয়ার, বর্শা ও বল্লম নিয়ে আমার কাছে আসছ, কিন্তু আমি বাহিনীগণের মাবুদ, ইসরাইলের সৈন্যদের আল্লাহ্র নামে, তুমি যাঁকে উপহাস করেছ তাঁরই নামে, তোমার কাছে আসছি।
46. আজ মাবুদ তোমাকে আমার হাতে তুলে দিবেন; আর আমি তোমাকে আঘাত করবো, তোমার দেহ থেকে মুণ্ড তুলে নেব এবং ফিলিস্তিনীদের সৈন্যের লাশ আজ আকাশের পাখি ও ভূমির পশুদের খেতে দেব; তাতে ইসরাইলে এক জন আল্লাহ্ আছেন তা সমস্ত দুনিয়া জানতে পারবে।
47. আর মাবুদ তলোয়ার ও বর্শা দ্বারা নিস্তার করেন না, এই কথাও এই সমস্ত সমাজ জানতে পারবে; কেননা এই যুদ্ধ মাবুদের, আর তিনি তোমাদেরকে আমাদের হাতে তুলে দিবেন।