12. দাউদ ছিলেন বেথেলহেম-এহুদা নিবাসী সেই ইফ্রাথীয় পুরুষের পুত্র, যাঁর নাম ইয়াসির; সেই ব্যক্তির আট জন পুত্র ছিল, আর তালুতের সময়ে তিনি বৃদ্ধ ও গতবয়স্ক হয়েছিলেন।
13. সেই ইয়াসিরের বড় তিন পুত্র তালুতের পিছনে যুদ্ধে গমন করেছিলেন। যুদ্ধে যাওয়া তার তিন পুত্রের মধ্যে জ্যেষ্ঠ পুত্রের নাম ইলীয়াব; দ্বিতীয় পুত্রের নাম অবীনাদব; আর তৃতীয় পুত্রের নাম শম্ম।
14. দাউদ ছিলেন কনিষ্ঠ পুত্র; আর সেই বড় তিন জন তালুতের অনুগামী হয়েছিলেন।
15. কিন্তু দাউদ তালুতের কাছ থেকে বেথেলহেমে তাঁর পিতার ভেড়া চরাবার জন্য যাতায়াত করতেন।
16. আর সেই ফিলিস্তিনী চল্লিশ দিন পর্যন্ত প্রাতঃকালে ও সন্ধ্যাবেলা কাছে এগিয়ে এসে নিজেকে দেখাত।
17. আর ইয়াসি তাঁর পুত্র দাউদকে বললেন, তুমি তোমার ভাইদের জন্য এই এক ঐফা ভাজা শস্য ও দশখানা রুটি নিয়ে শিবিরে তাদের কাছে দৌড়ে যাও।
18. আর এই দশ তাল পনীর তাদের সহস্র্রপতির কাছে নিয়ে গিয়ে তোমার ভাইয়েরা কেমন আছে, দেখে এসো, তাদের থেকে কোন চিহ্ন নিয়ে এসো।
19. তালুত ও তোমার ভাইয়েরা এবং সমস্ত ইসরাইল এলা উপত্যকাতে আছে, ফিলিস্তিনীদের সঙ্গে যুদ্ধ করছে।
20. পরে দাউদ খুব ভোরে উঠে ভেড়াগুলোকে এক জন রক্ষকের হাতে দিয়ে ইয়াসির হুকুম অনুসারে ঐ সমস্ত দ্রব্য নিয়ে গমন করলেন। তিনি যে সময়ে শিবিরের কাছে উপস্থিত হলেন, সেই সময়ে সৈন্যরা যুদ্ধে যাবার জন্য বের হচ্ছিল এবং সংগ্রামের জন্য সিংহনাদ করছিল।
21. পরে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনীরা পরস্পর সম্মুখাসম্মুখি হয়ে সৈন্য রচনা করলো।
22. তখন দাউদ দ্রব্যরক্ষকের হাতে তার সমস্ত দ্রব্য রেখে সৈন্যশ্রেণীর মধ্যে দৌড়ে গিয়ে তাঁর ভাইদের কুশল জিজ্ঞাসা করলেন।
23. তিনি তাঁদের সঙ্গে কথা বলছেন, ইতোমধ্যে দেখ, গাৎ-নিবাসী ফিলিস্তিনী জালুত নামক সেই বীর ফিলিস্তিনীদের সৈন্যশ্রেণী থেকে উঠে এসে আগের মত কথা বললো; আর দাউদ তা শুনলেন।
24. কিন্তু ইসরাইলের সমস্ত লোক সেই ব্যক্তিকে দেখে তার সম্মুখ থেকে পালিয়ে গেল, তারা ভীষণ ভয় পেয়েছিল।