54. মাবুদের কাছে এ সব মুনাজাত ও ফরিয়াদ শেষ করলেন এবং সোলায়মান এতক্ষণ যে মাবুদের কোরবানগাহ্র সম্মুখে জানু পেতে ও বেহেশতের দিকে দু’হাত তুলেছিলেন তা থেকে উঠলেন।
55. আর তিনি দাঁড়িয়ে উচ্চৈঃস্বরে সমস্ত ইসরাইল-সমাজকে দোয়া করলেন, বললেন;
56. মাবুদ ধন্য হোন, যিনি তাঁর সকল ওয়াদা অনুসারে তাঁর লোক ইসরাইলকে বিশ্রাম দিয়েছেন; তিনি তাঁর গোলাম মূসার মধ্য দিয়ে যে ওয়াদা করেছিলেন, সেই উত্তম প্রতিজ্ঞার একটি কথাও অন্যথা হয় নি।
57. আমাদের আল্লাহ্ মাবুদ যেমন আমাদের পূর্বপুরুষদের সহবর্তী ছিলেন, তেমনি আমাদেরও সহবর্তী থাকুন, তিনি আমাদেরকে ত্যাগ না করুন, ছেড়ে না যান।
58. তাঁর সমস্ত পথে চলতে ও আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে তিনি যা যা হুকুম করেছিলেন, তাঁরা সেসব হুকুম, বিধি ও অনুশাসন পালন করতে আমাদের অন্তর তাঁর প্রতি আকর্ষণ করুন।
59. আর এই যেসব কথার দ্বারা আমি মাবুদের কাছে অনুরোধ করলাম; আমার এসব কথা দিনরাত আমাদের আল্লাহ্ মাবুদের সম্মুখে থাকুক; এবং দিন দিন যেমন প্রয়োজন তেমনি তিনি তাঁর গোলাম ও তাঁর লোক ইসরাইলের বিচার সিদ্ধ করুন;
60. যেন দুনিয়ার সমস্ত জাতি জানতে পারে যে, মাবুদই আল্লাহ্, আর কেউ নেই।
61. অতএব তাঁর বিধিপথে চলতে ও তাঁর হুকুম পালন করতে আমাদের আল্লাহ্ মাবুদের কাছে তোমাদের অন্তঃকরণ একাগ্র হোক, যেমন আজ দেখা যাচ্ছে।
62. পরে বাদশাহ্ ও তাঁর সঙ্গে সমস্ত ইসরাইল মাবুদের সম্মুখে কোরবানী করলেন।
63. সোলায়মান মাবুদের উদ্দেশে বাইশ হাজার গরু ও এক লক্ষ বিশ হাজার ভেড়া মঙ্গল-কোরবানী হিসেবে কোরবানী করলেন। এভাবে বাদশাহ্ ও সমস্ত বনি-ইসরাইল মাবুদের গৃহ প্রতিষ্ঠা করলেন।
64. সেদিন বাদশাহ্ মাবুদের গৃহের সম্মুখস্থ প্রাঙ্গণের মধ্যদেশ পবিত্র করলেন, কেননা তিনি সেই স্থানে পোড়ানো-কোরবানী ও শস্য-উৎসর্গ এবং মঙ্গল-কোরবানীর চর্বি উৎসর্গ করলেন; কারণ পোড়ানো-কোরবানী ও শস্য-উৎসর্গ; এবং মঙ্গল-কোরবানীর চর্বি গ্রহণের জন্য মাবুদের সম্মুখস্থ ব্রোঞ্জের কোরবানগাহ্ ছোট ছিল।
65. এভাবে সেই সময়ে সোলায়মান ও তাঁর সঙ্গে সমস্ত ইসরাইল, হমাতের প্রবেশ-স্থান থেকে মিসরের স্রোত পর্যন্ত (দেশবাসী) মহাসমাজ, সাত দিন আর সাত দিন, চৌদ্দ দিন আমাদের আল্লাহ্ মাবুদের সম্মুখে উৎসব করলেন।
66. অষ্টম দিনে তিনি লোকদের বিদায় করলেন ও তারা বাদশাহ্কে দোয়া করলো এবং মাবুদ তাঁর গোলাম দাউদ ও তাঁর লোক ইসরাইলের যেসব মঙ্গল করেছিলেন, সেই সবের জন্য আনন্দিত ও হৃষ্টচিত্ত হয়ে নিজ নিজ তাঁবুতে চলে গেল।