41. এছাড়া তোমার লোক ইসরাইল গোষ্ঠীর নয়, এমন কোন বিদেশী যখন তোমার নামের অনুরোধে দূর দেশ থেকে আসবে—
42. কারণ তারা তোমার মহানাম, তোমার শক্তিমান হাত ও তোমার বাড়িয়ে দেওয়া বাহুর কথা শুনবে— যখন সে এসে এই গৃহের উদ্দেশে মুনাজাত করবে,
43. তখন তুমি তোমার নিবাস-স্থান বেহেশতে তা শুনো; এবং সেই বিদেশী তোমার কাছে যে কিছু মুনাজাত করবে, সেই অনুসারে করো; যেন তোমার লোক ইসরাইলের মত তোমাকে ভয় করার জন্য দুনিয়ার সমস্ত জাতি তোমার নাম জানতে পারে এবং তারা জানতে পায় যে, আমার নির্মিত এই গৃহের উপরে তোমারই নাম কীর্তিত।
44. তুমি তোমার লোকদেরকে কোন পথে প্রেরণ করলে যদি তারা তাদের দুশমনদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে বের হয় এবং তোমার মনোনীত নগরের অভিমুখে ও তোমার নামের জন্য আমার নির্মিত গৃহের অভিমুখে মাবুদের কাছে মুনাজাত করে;
45. তবে তুমি বেহেশতে তাদের মুনাজাত ও ফরিয়াদ শুনো এবং তাদের বিচার নিষ্পত্তি করো।
46. তারা যদি তোমার বিরুদ্ধে গুনাহ্ করে— কেননা গুনাহ্ না করে এমন কোন মানুষ নেই এবং তুমি যদি তাদের প্রতি ত্রুুদ্ধ হয়ে দুশমনের হাতে তাদেরকে তুলে দাও ও দুশমনেরা তাদেরকে বন্দী করে দূরস্থ কিংবা নিকটস্থ শত্রু-দেশে নিয়ে যায়;
47. তবুও যে দেশে তাদের বন্দী হিসেবে নেওয়া হয়েছে, সেই দেশে যদি মনে মনে বিবেচনা করে ও ফিরে এবং যারা তাদেরকে বন্দী করে নিয়ে গেছে, তাদের দেশে যদি তোমার কাছে ফরিয়াদ করে বলে, আমরা গুনাহ্ করেছি; অপরাধী হয়েছি, অবাধ্য হয়েছি;
48. যে দুশমনেরা তাদেরকে নিয়ে গেছে, তাদের দেশে যদি সমস্ত অন্তঃকরণ ও অকৃত্রিম ইচ্ছা নিয়ে তোমার কাছে ফিরে আসে এবং তুমি তাদের পূর্বপুরুষদেরকে যে দেশ দিয়েছ, তাদের সেই দেশের জন্য, তোমার মনোনীত নগরের জন্য ও তোমার নাম উপলক্ষে আমার নির্মিত গৃহের জন্য যদি তোমার কাছে মুনাজাত করে;
49. তবে তুমি তোমার নিবাসস্থান বেহেশতে তাদের মুনাজাত ও ফরিয়াদ শুনো এবং তাদের বিচার নিষ্পত্তি করো;
50. আর তোমার যে লোকেরা তোমার বিরুদ্ধে গুনাহ্ করেছে, তাদেরকে মাফ করো এবং তোমার বিরুদ্ধে কৃত তাদের সমস্ত অধর্ম মার্জনা করো; আর যারা তাদেরকে বন্দী করে নিয়ে যায়, তাদের করুণার পাত্র করো, তারা যেন এদের প্রতি করুণা করে।
51. কেননা এরা তোমারই লোক ও তোমারই অধিকার; তুমি এদেরকে মিসর থেকে, লোহার হাপরের মধ্য থেকে বের করে এনেছ।
52. এভাবে তোমার এই গোলামের বিনতিতে ও তোমার লোক ইসরাইলের বিনতিতে তোমার চোখ উন্মীলিত হোক, আর তারা যে কোন বিষয়ে তোমাকে ডাকে, তুমি তাদের কথায় কান দিও।
53. কেননা হে সার্বভৌম মাবুদ, যখন তুমি আমাদের পূর্বপুরুষদের মিসর থেকে বের করে এনেছিলে, তখন তোমার গোলাম মূসার মধ্য দিয়ে যেমন বলেছিলে, তেমনি তুমিই তোমার অধিকার বলে তাদেরকে দুনিয়ার সমস্ত জাতি থেকে পৃথক করেছ।
54. মাবুদের কাছে এ সব মুনাজাত ও ফরিয়াদ শেষ করলেন এবং সোলায়মান এতক্ষণ যে মাবুদের কোরবানগাহ্র সম্মুখে জানু পেতে ও বেহেশতের দিকে দু’হাত তুলেছিলেন তা থেকে উঠলেন।
55. আর তিনি দাঁড়িয়ে উচ্চৈঃস্বরে সমস্ত ইসরাইল-সমাজকে দোয়া করলেন, বললেন;
56. মাবুদ ধন্য হোন, যিনি তাঁর সকল ওয়াদা অনুসারে তাঁর লোক ইসরাইলকে বিশ্রাম দিয়েছেন; তিনি তাঁর গোলাম মূসার মধ্য দিয়ে যে ওয়াদা করেছিলেন, সেই উত্তম প্রতিজ্ঞার একটি কথাও অন্যথা হয় নি।