16. আর বিশ হাত পরিমিত গৃহের যে পশ্চাদ্ভাগ, তা মেঝে থেকে দেয়ালের ছাদ পর্যন্ত এরস কাঠের তক্তা দ্বারা আচ্ছাদন করলেন এবং ভিতরে অন্তর্গৃহ অর্থাৎ মহা-পবিত্র স্থানের জন্য তা প্রস্তুত করলেন।
17. তাতে গৃহ, অর্থাৎ সম্মুখস্থ পবিত্র স্থানটি চল্লিশ হাত লম্বা হল।
18. আর গৃহের মধ্যে এরস কাঠে বার্তাকী ও বিকশিত ফুল খোদাই করা হল; সকলই এরস কাঠের হল, কিছুমাত্র পাথর দেখা গেলো না।
19. আর আল্লাহ্র শরীয়ত-সিন্দুক স্থাপন করার জন্য পবিত্র স্থানের ভিতরে তিনি একটি অন্তর্গৃহ প্রস্তুত করলেন।
20. তিনি পবিত্র স্থানের ভিতরে বিশ হাত লম্বা ও বিশ হাত চওড়া ও বিশ হাত উঁচু করে খাঁটি সোনা দিয়ে এবং কোরবানগাহ্ এরস কাঠ দিয়ে মুড়িয়ে দিলেন।
21. সোলায়মান খাঁটি সোনা দিয়ে গৃহের ভিতরের ভাগ মুড়িয়ে দিলেন এবং অন্তর্গৃহের সম্মুখে সোনার শিকল রাখলেন, আর অন্তর্গৃহ সোনা দিয়ে মুড়িয়ে দিলেন।
22. তিনি সমস্ত গৃহটি সোনা দিয়ে মুড়িয়ে দিলেন, যে পর্যন্ত সমস্ত গৃহের কাজ শেষ না হল এবং অন্তর্গৃহের নিকটস্থ সমস্ত ধূপগাহ্টি সোনা দিয়ে মুড়িয়ে দিলেন।
23. আর তিনি অন্তর্গৃহের মধ্যে দশ দশ হাত উঁচু জলপাই কাঠের দু’টি কারুবী নির্মাণ করলেন।
24. একটি কারুবীর একটি পাখা পাঁচ হাত ও অন্য পাখাটি পাঁচ হাত ছিল; একটি পাখার প্রান্তভাগ থেকে অন্য পাখার প্রান্তভাগ পর্যন্ত দশ হাত হল।
25. আর দ্বিতীয় কারুবীও দশ হাত ছিল; দুই কারুবীর সম পরিমাণ ও সম আকার ছিল।
26. প্রথম এবং দ্বিতীয় দুই কারুবীই দশ দশ হাত উঁচু ছিল।
27. পরে তিনি সেই দুই কারুবীকে ভিতরের গৃহে স্থাপন করলেন এবং কারুবীদের পাখা এমনভাবে প্রসারিত হল যে, একটির পাখা এক দেয়াল, অন্যটির পাখা অন্য দেয়াল স্পর্শ করলো এবং তাদের পাখা গৃহের মধ্যে পরস্পর স্পর্শ করলো।
28. পরে তিনি কারুবী দু’টিকে সোনা দিয়ে মুড়িয়ে দিলেন।
29. আর কারুবীর, খেজুর গাছের ও বিকশিত ফুলের মূর্তিতে বাড়ির সমস্ত দেয়ালের গায়ে ভিতরে বাইরে চারদিকে খোদাই করলেন;
30. এবং গৃহের মেঝে ভিতরে বাইরে সোনা দিয়ে ঢেকে দিলেন।
31. আর তিনি অন্তর্গৃহের প্রবেশ-দ্বারে জলপাই কাঠের দরজা তৈরি করলেন এবং কপালী ও বাজু (দেয়ালের) পঞ্চমাংশ হল।
32. ঐ জলপাই কাঠের দু’টি কবাটে কারুবীর, খেজুর গাছের ও বিকশিত পুষ্পের আকৃতি খোদাই করে সোনা দিয়ে তা আচ্ছাদন করলেন; আর কারুবী ও খেজুর গাছের উপরে সোনার পাত করে দিলেন।