19. আর রাতে এই স্ত্রীলোকটির সন্তানটি মারা গেল, কারণ সে তার সন্তানের উপরে শয়ন করেছিল।
20. তাতে সে মাঝ রাতে উঠে যখন আপনার বাঁদী আমি ঘুমিয়ে ছিলাম তখন আমার পাশ থেকে আমার সন্তানটিকে নিয়ে নিজের কোলে শুইয়ে রাখল এবং নিজের মৃত সন্তানটিকে আমার কোলে শুইয়ে রাখল।
21. খুব ভোরে আমি আমার সন্তানটিকে বুকের দুধ দিতে উঠলাম, আর দেখলাম ছেলেটি মৃত; কিন্তু সকালে তার প্রতি ভাল করে লক্ষ্য করে দেখলাম সে আমার গর্ভের সন্তান নয়।
22. অন্য স্ত্রীলোকটি বললো, না, জীবিত সন্তান আমার, মৃত সন্তান তোমার। প্রথম স্ত্রী বললো, না, না, মৃত সন্তান তোমার, জীবিত সন্তান আমার। এভাবে তারা দু’জনে বাদশাহ্র সম্মুখে বাদানুবাদ করতে লাগল।
23. তখন বাদশাহ্ বললেন, এক জন বলছে, এই জীবিত সন্তান আমার, মৃত সন্তান তোমার; অন্য জন বলছে, না মৃত সন্তান তোমার, জীবিত সন্তান আমার।
24. পরে বাদশাহ্ বললেন, আমার কাছে একটা তলোয়ার আন। তাতে বাদশাহ্র কাছে তলোয়ার আনা হল।
25. বাদশাহ্ বললেন, এই জীবিত ছেলেটিকে দুই খণ্ড করে ফেল এবং এক জনকে অর্ধেক ও অন্য জন্যকে অর্ধেক দাও।
26. তখন জীবিত ছেলেটি যার সন্তান, সেই স্ত্রীলোকটি সন্তানের জন্য তার অন্তঃকরণ ব্যাকুল হওয়াতে বাদশাহ্কে বললো, হে আমার প্রভু, আরজ করি, জীবিত ছেলেটি ওকে দিয়ে দিন, ছেলেটিকে কোন মতে হত্যা করবেন না। কিন্তু অপর জন বললো, সে আমারও না হোক, তোমারও না হোক, দুই খণ্ড কর।
27. তখন বাদশাহ্ জবাবে বললেন, জীবিত ছেলেটি ওকে দাও, কোন মতে হত্যা করো না; সে ঐ ছেলেটির মা।
28. বাদশাহ্ বিচারের যে নিষ্পত্তি করলেন, তা শুনে সমস্ত ইসরাইলদের মনে বাদশাহ্ সম্পর্কে ভয় জেগে উঠলো; কেননা তারা দেখতে পেল, বিচার করার জন্য তাঁর অন্তরে আল্লাহ্দত্ত জ্ঞান আছে।