36. পরে সূর্যাস্তকালে সৈন্যদলের মধ্যে সর্বত্র এই কথা প্রচারিত হল, প্রত্যেক জন যার যার নগরে, প্রত্যেক জন যার যার দেশে চলে যাক।
37. এভাবে বাদশাহ্র মৃত্যুর পর সামেরিয়াতে আনা হলেন, আর লোকেরা সামেরিয়াতে বাদশাহ্কে দাফন করলো।
38. পরে সামেরিয়ার পুস্করিণীর ধারে তাঁর রথ ধোয়া হলে মাবুদের কথিত কালাম অনুসারে কুকুরেরা তাঁর রক্ত চেটে খেল; পতিতারা সেখানে গোসল করতো।
39. আহাবের অবশিষ্ট বৃত্তান্ত ও সমস্ত কাজের বিবরণ এবং তিনি যে হাতির দাঁতের বাড়ি নির্মাণ করেছিলেন, আর যে সমস্ত নগর নির্মাণ করলেন সেই সমস্ত কথা কি ইসরাইলের বাদশাহ্দের ইতিহাস-পুস্তকে লেখা নেই?
40. এভাবে আহাব তাঁর পূর্ব-পুরুষদের সঙ্গে নিদ্রাগত হলেন, আর তাঁর পুত্র অহসিয় তাঁর পদে বাদশাহ্ হলেন।
41. ইসরাইলের বাদশাহ্ আহাবের চতুর্থ বছরে আসার পুত্র যিহোশাফট এহুদায় রাজত্ব করতে আরম্ভ করেন।
42. যিহোশাফট পঁয়ত্রিশ বছর বয়সে রাজত্ব করতে আরম্ভ করে জেরুশালেমে পঁচিশ বছর রাজত্ব করেন; তাঁর মায়ের নাম অসূবা, তিনি শিল্হির কন্যা।
43. যিহোশাফট তাঁর পিতা আসার সমস্ত পথে চলতেন, সেই পথ থেকে না ফিরে মাবুদের দৃষ্টিতে যা ন্যায্য, তা-ই করতেন, কিন্তু সমস্ত উচ্চস্থলী উচ্ছিন্ন হয় নি, লোকেরা তখনও উচ্চস্থলীতে কোরবানী করতো ও ধূপ জ্বালাত।
44. আর যিহোশাফট ইসরাইলের বাদশাহ্র সঙ্গে সন্ধি স্থাপন করেন।
45. যিহোশাফটের অবশিষ্ট বৃত্তান্ত এবং তিনি যে যে বিক্রমের কাজ করলেন ও যেসব যুদ্ধ করলেন সেই সকল কি এহুদা-বাদশাহ্দের ইতিহাস-কিতাবে লেখা নেই?
46. তাঁর পিতা আসার সময়ে যে পুরুষ সমকামীরা অবশিষ্ট ছিল, তাদেরকে তিনি দেশ থেকে দূর করে দিলেন।
47. সেই সময়ে ইদোমে বাদশাহ্ ছিল না, এক জন প্রতিনিধি রাজত্ব করতেন।
48. যিহোশাফট সোনার জন্য ওফীরে প্রেরণ করার জন্য তর্শীশের কয়েকটি জাহাজ নির্মাণ করলেন, কিন্তু সেগুলো গেল না, কেননা সেই জাহাজগুলো ইৎসিয়োন-গেবরে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।