29. পরে ইসরাইলের বাদশাহ্ ও এহুদার বাদশাহ্ যিহোশাফট রামোৎ-গিলিয়দে যাত্রা করলেন।
30. আর ইসরাইলের বাদশাহ্ যিহোশাফটকে বললেন, আমি অন্য বেশ ধারণ করে যুদ্ধে প্রবেশ করবো, আপনি রাজপোশাকই পরে নিন। পরে ইসরাইলের বাদশাহ্ অন্য বেশ ধরে যুদ্ধে প্রবেশ করলেন।
31. অরামের বাদশাহ্ তাঁর রথের বত্রিশ জন সেনাপতিকে এই হুকুম দিয়েছিলেন, তোমরা কেবল ইসরাইলের বাদশাহ্ ছাড়া তোমরা ছোট বা বড় আর কারো সঙ্গে যুদ্ধ করো না।
32. পরে রথের সেনাপতিরা যিহোশাফটকে দেখে, উনিই অবশ্য ইসরাইলের বাদশাহ্, এই বলে তাঁর সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য এক পাশে গেলেন। তখন যিহোশাফট চেঁচিয়ে উঠলেন।
33. আর রথের সেনাপতিরা যখন দেখলেন, ইনি ইসরাইলের বাদশাহ্ নন, তখন তাঁর পিছনে তাড়া না করে ফিরে গেলেন।
34. কিন্তু একটা লোক লক্ষ্য স্থির না করেই ধনুকে টান দিয়ে ইসরাইলের বাদশাহ্র উদর-রক্ষার ও বুকপাটার সন্ধিস্থানে তীর দ্বারা আঘাত করলো; তাতে তিনি তাঁর সারথিকে বললেন, হাত ফিরিয়ে সৈন্যদলের মধ্য থেকে আমাকে নিয়ে যাও, আমি দারুণ আঘাত পেয়েছি।
35. সেই দিন তুমুল যুদ্ধ হল, আর লোকেরা অরামীয়দের সম্মুখে বাদশাহ্কে রথে দণ্ডায়মান রাখল; কিন্তু সন্ধ্যাবেলা তিনি ইন্তেকাল করলেন এবং তাঁর ক্ষতের রক্ত রথের মেঝেও পড়লো।
36. পরে সূর্যাস্তকালে সৈন্যদলের মধ্যে সর্বত্র এই কথা প্রচারিত হল, প্রত্যেক জন যার যার নগরে, প্রত্যেক জন যার যার দেশে চলে যাক।
37. এভাবে বাদশাহ্র মৃত্যুর পর সামেরিয়াতে আনা হলেন, আর লোকেরা সামেরিয়াতে বাদশাহ্কে দাফন করলো।
38. পরে সামেরিয়ার পুস্করিণীর ধারে তাঁর রথ ধোয়া হলে মাবুদের কথিত কালাম অনুসারে কুকুরেরা তাঁর রক্ত চেটে খেল; পতিতারা সেখানে গোসল করতো।
39. আহাবের অবশিষ্ট বৃত্তান্ত ও সমস্ত কাজের বিবরণ এবং তিনি যে হাতির দাঁতের বাড়ি নির্মাণ করেছিলেন, আর যে সমস্ত নগর নির্মাণ করলেন সেই সমস্ত কথা কি ইসরাইলের বাদশাহ্দের ইতিহাস-পুস্তকে লেখা নেই?
40. এভাবে আহাব তাঁর পূর্ব-পুরুষদের সঙ্গে নিদ্রাগত হলেন, আর তাঁর পুত্র অহসিয় তাঁর পদে বাদশাহ্ হলেন।
41. ইসরাইলের বাদশাহ্ আহাবের চতুর্থ বছরে আসার পুত্র যিহোশাফট এহুদায় রাজত্ব করতে আরম্ভ করেন।