1. বাদশাহ্ সোলায়মান ফেরাউনের কন্যা ছাড়া আরও অনেক বিদেশী রমণী, অর্থাৎ মোয়াবীয়া, অম্মোণীয়া, ইদোমীয়া, সীদোনীয়া ও হিত্তীয়া রমণীকে মহব্বত করতেন।
2. যে জাতিদের বিষয়ে মাবুদ বনি-ইসরাইলদের বলেছিলেন, তোমরা তাদের কাছে যেও না এবং তাদেরকে তোমাদের কাছে আসতে দিও না, কেননা তারা নিশ্চয়ই তোমাদের হৃদয়কে তাদের দেবতাদের পিছনে চলে বিপথগামী করবে, সোলায়মান তাদেরই প্রতি প্রেমাসক্ত হলেন।
3. সাত শত রমণী তাঁর পত্নী ও তিন শত তাঁর উপপত্নী ছিল; তাঁর সেই স্ত্রীরা তাঁর হৃদয়কে বিপথগামী করলো।
4. ফলে এরকম ঘটলো, সোলায়মানের বৃদ্ধ বয়সে তাঁর স্ত্রীরা তাঁর হৃদয়কে অন্য দেবতাদের পশ্চাতগামী করে বিপথগামী করলো; তাঁর পিতা দাউদের অন্তঃকরণ যেমন ছিল, তেমনি তাঁর আল্লাহ্ মাবুদের ভক্তিতে তাঁর অন্তঃকরণ একাগ্র ছিল না।
5. কিন্তু সোলায়মান সীদোনীয়দের দেবী অষ্টারত ও অম্মোনীয়দের ঘৃণ্য দেবতা মিল্কমের অনুগামী হলেন।
6. এভাবে সোলায়মান মাবুদের দৃষ্টিতে যা মন্দ তা-ই করলেন; তাঁর পিতা দাউদের মত সমপূর্ণভাবে মাবুদের অনুগামী হলেন না।
7. সেই সময়ে সোলায়মান জেরুশালেমের সম্মুখস্থ পর্বতে মোয়াবের ঘৃণ্য দেবতা কমোশ ও অম্মোনীয়দের ঘৃণ্য দেবতা মোলাকের জন্য উচ্চস্থলী নির্মাণ করলেন।
8. তাঁর যত বিদেশী স্ত্রী যার যার দেবতার উদ্দেশে ধূপ জ্বালাত ও পশু কোরবানী করতো, তাদের সকলের জন্য তিনি তা-ই করলেন।