9. আপনার আল্লাহ্ মাবুদ ধন্য হোন, যিনি আপনাকে ইসরাইলের সিংহাসনে বসাবার জন্য আপনার প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন; মাবুদ ইসরাইলকে চিরকাল মহব্বত করেন, এজন্য বিচার ও ধর্ম প্রচলন করতে আপনাকে বাদশাহ্ করেছেন।
10. পরে তিনি বাদশাহ্কে এক শত বিশ তালন্ত সোনা ও প্রচুর সুগন্ধি দ্রব্য ও মণি উপঢৌকন দিলেন। সাবার রাণী বাদশাহ্ সোলায়মানকে যত সুগন্ধি দ্রব্য দিলেন, তত বেশি সুগন্ধি দ্রব্য আর কখনও আসে নি।
11. আর হীরমের যেসব জাহাজ ওফীর থেকে সোনা নিয়ে আসত, সেসব জাহাজ ওফীর থেকে বিস্তর চন্দন কাঠ ও মণিও আনত।
12. সেই চন্দন কাঠ দ্বারা বাদশাহ্ মাবুদের গৃহ ও রাজপ্রাসাদের জন্য গরাদিয়া ও গায়কদের জন্য বীণা এবং নেবল প্রস্তুত করলেন; এত বেশি চন্দন কাঠ আর কখনও আসে নি, দেখাও যায় নি।
13. আর বাদশাহ্ সোলায়মান সাবার রাণীর বাসনা অনুসারে তাঁর যাবতীয় বাঞ্ছিত দ্রব্য দিলেন, তা ছাড়া সোলায়মান তাঁর রাজকীয় দানশীলতা অনুসারে তাঁকে আরও দিলেন। পরে তিনি ও তাঁর গোলামেরা স্বদেশে ফিরে গেলেন।
14. এক বছরের মধ্যে সোলায়মানের কাছে ছয় শত ছেষট্টি তালন্ত পরিমিত সোনা আসত।
15. এছাড়া বণিক, ব্যবসায়ী ও আরবীয় বাদশাহ্দের সমস্ত বাদশাহ্ ও শাসনকর্তাদের কাছ থেকে সোনার আমদানি হত।
16. তাতে বাদশাহ্ সোলায়মান পিটানো সোনার দুই শত বড় ঢাল প্রস্তুত করলেন, তার প্রত্যেক ঢালে ছয় শত শেকল পরিমিত সোনা ছিল।
17. তিনি পিটানো সোনা দিয়ে তিন শত ঢাল প্রস্তুত করলেন; তার প্রত্যেক ঢালে তিন মানি করে সোনা ছিল, পরে বাদশাহ্ লেবানন অরণ্যস্থ বাড়িতে সেগুলো রাখলেন।
18. আর বাদশাহ্ হাতির দাঁতের একটি বড় সিংহাসন নির্মাণ করে খাঁটি সোনা দিয়ে মুড়িয়ে দিলেন।
19. ঐ সিংহাসনের ছয়টি সিঁড়ি ছিল ও সিংহাসনের উপরিস্থ ভাগ পিছনের দিকে গোলাকার ছিল এবং আসনের উভয় পাশে হাতা ছিল, সেই হাতার কাছে দুই সিংহমূর্তি দণ্ডায়মান ছিল।
20. আর সেই ছয়টি সিঁড়ির উপরে দুই পাশে বারোটি সিংহমূর্তি দণ্ডায়মান ছিল; এরকম সিংহাসন আর কোন রাজ্যে নির্মিত হয় নি।