16. তাতে বাদশাহ্ সোলায়মান পিটানো সোনার দুই শত বড় ঢাল প্রস্তুত করলেন, তার প্রত্যেক ঢালে ছয় শত শেকল পরিমিত সোনা ছিল।
17. তিনি পিটানো সোনা দিয়ে তিন শত ঢাল প্রস্তুত করলেন; তার প্রত্যেক ঢালে তিন মানি করে সোনা ছিল, পরে বাদশাহ্ লেবানন অরণ্যস্থ বাড়িতে সেগুলো রাখলেন।
18. আর বাদশাহ্ হাতির দাঁতের একটি বড় সিংহাসন নির্মাণ করে খাঁটি সোনা দিয়ে মুড়িয়ে দিলেন।
19. ঐ সিংহাসনের ছয়টি সিঁড়ি ছিল ও সিংহাসনের উপরিস্থ ভাগ পিছনের দিকে গোলাকার ছিল এবং আসনের উভয় পাশে হাতা ছিল, সেই হাতার কাছে দুই সিংহমূর্তি দণ্ডায়মান ছিল।
20. আর সেই ছয়টি সিঁড়ির উপরে দুই পাশে বারোটি সিংহমূর্তি দণ্ডায়মান ছিল; এরকম সিংহাসন আর কোন রাজ্যে নির্মিত হয় নি।
21. বাদশাহ্ সোলায়মানের সমস্ত পানপাত্র সোনার ছিল ও লেবানন অরণ্যস্থ বাড়ির যাবতীয় পাত্র খাঁটি সোনার ছিল; রূপার কিছুই ছিল না; সোলায়মানের অধিকারে তা কিছুরই মধ্যে গণ্য ছিল না।
22. কেননা সমুদ্রে হীরমের জাহাজের সঙ্গে বাদশাহ্রও তর্শীশের জাহাজ ছিল; সেই তর্শীশের সমস্ত জাহাজ তিন বছরান্তে এক বার সোনা, রূপা, হাতির দাঁত, বানর ও ময়ূর নিয়ে আসত।
23. এভাবে ঐশ্বর্যে ও জ্ঞানে বাদশাহ্ সোলায়মান দুনিয়ার সকল বাদশাহ্র মধ্যে প্রধান হলেন।
24. আর আল্লাহ্ সোলায়মানের চিত্তে যে জ্ঞান দিয়েছিলেন, তাঁর সেই জ্ঞানের উক্তি শুনবার জন্য সর্বদেশীয় লোক তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেষ্টা করতো।
25. আর প্রত্যেকে নিজস্ব উপঢৌকন, রূপার পাত্র, সোনার পাত্র, কাপড়-চোপড়, অস্ত্র ও সুগন্ধি দ্রব্য, ঘোড়া ও খচ্চর আনত; প্রতি বছর এরকম হত।
26. আর সোলায়মান অনেক রথ ও ঘোড়সওয়ার সংগ্রহ করলেন; তাঁর এক হাজার চার শত রথ ও বারো হাজার ঘোড়সওয়ার ছিল, আর সেসব তিনি রথনগরগুলোতে এবং জেরুশালেমে বাদশাহ্র কাছে রাখতেন।
27. বাদশাহ্ জেরুশালেমে রূপাকে পাথরের মত ও এরস কাঠকে নিম্নভূমিস্থ ডুমুর গাছের মত প্রচুর করলেন।
28. আর সোলায়মানের সমস্ত ঘোড়া মিসর ও কুয়ে থেকে আনা হত; বাদশাহ্র বণিকেরা কুয়ে থেকে মূল্য দিয়ে পালে পালে ঘোড়া কিনে আনত।
29. আর মিসর থেকে আনা এক এক রথের মূল্য ছয় শত শেকল রূপা ও এক এক ঘোড়ার মূল্য এক শত পঞ্চাশ শেকল ছিল। এইভাবে ওদের দ্বারা হিট্টিয় সমস্ত বাদশাহ্র জন্য ও অরামীয় বাদশাহ্দের জন্যও ঘোড়া আনা হত।