13. আর বাদশাহ্ সোলায়মান সাবার রাণীর বাসনা অনুসারে তাঁর যাবতীয় বাঞ্ছিত দ্রব্য দিলেন, তা ছাড়া সোলায়মান তাঁর রাজকীয় দানশীলতা অনুসারে তাঁকে আরও দিলেন। পরে তিনি ও তাঁর গোলামেরা স্বদেশে ফিরে গেলেন।
14. এক বছরের মধ্যে সোলায়মানের কাছে ছয় শত ছেষট্টি তালন্ত পরিমিত সোনা আসত।
15. এছাড়া বণিক, ব্যবসায়ী ও আরবীয় বাদশাহ্দের সমস্ত বাদশাহ্ ও শাসনকর্তাদের কাছ থেকে সোনার আমদানি হত।
16. তাতে বাদশাহ্ সোলায়মান পিটানো সোনার দুই শত বড় ঢাল প্রস্তুত করলেন, তার প্রত্যেক ঢালে ছয় শত শেকল পরিমিত সোনা ছিল।
17. তিনি পিটানো সোনা দিয়ে তিন শত ঢাল প্রস্তুত করলেন; তার প্রত্যেক ঢালে তিন মানি করে সোনা ছিল, পরে বাদশাহ্ লেবানন অরণ্যস্থ বাড়িতে সেগুলো রাখলেন।
18. আর বাদশাহ্ হাতির দাঁতের একটি বড় সিংহাসন নির্মাণ করে খাঁটি সোনা দিয়ে মুড়িয়ে দিলেন।
19. ঐ সিংহাসনের ছয়টি সিঁড়ি ছিল ও সিংহাসনের উপরিস্থ ভাগ পিছনের দিকে গোলাকার ছিল এবং আসনের উভয় পাশে হাতা ছিল, সেই হাতার কাছে দুই সিংহমূর্তি দণ্ডায়মান ছিল।
20. আর সেই ছয়টি সিঁড়ির উপরে দুই পাশে বারোটি সিংহমূর্তি দণ্ডায়মান ছিল; এরকম সিংহাসন আর কোন রাজ্যে নির্মিত হয় নি।
21. বাদশাহ্ সোলায়মানের সমস্ত পানপাত্র সোনার ছিল ও লেবানন অরণ্যস্থ বাড়ির যাবতীয় পাত্র খাঁটি সোনার ছিল; রূপার কিছুই ছিল না; সোলায়মানের অধিকারে তা কিছুরই মধ্যে গণ্য ছিল না।
22. কেননা সমুদ্রে হীরমের জাহাজের সঙ্গে বাদশাহ্রও তর্শীশের জাহাজ ছিল; সেই তর্শীশের সমস্ত জাহাজ তিন বছরান্তে এক বার সোনা, রূপা, হাতির দাঁত, বানর ও ময়ূর নিয়ে আসত।