33. বাদশাহ্ তাঁদের বললেন, তোমরা তোমাদের প্রভুর গোলামদেরকে সঙ্গে নিয়ে আমার পুত্র সোলায়মানকে আমার নিজের ঘোড়ায় আরোহণ করিয়ে গীহোনে যাও।
34. সেই স্থানে ইমাম সাদোক ও নাথন নবী তাকে ইসরাইলের বাদশাহ্র পদে অভিষেক করুন এবং তোমরা সকলে তূরী বাজিয়ে বল, বাদশাহ্ সোলায়মান চিরজীবী হোন!
35. পরে তার পেছন পেছন এসো; সে এসে আমার সিংহাসনে বসবে, কেননা সে আমার পদে বাদশাহ্ হবে; আমি ইসরাইল ও এহুদার উপরে তাকে নায়ক করে নিযুক্ত করলাম।
36. তাতে যিহোয়াদার পুত্র বনায় বাদশাহ্কে জবাবে বললেন, আমিন, আমার মালিক বাদশাহ্র আল্লাহ্ মাবুদও এ-ই বলুন।
37. মাবুদ যেমন আমার মালিক বাদশাহ্র সহবর্তী হয়ে এসেছেন, তেমনি সোলায়মানের সহবর্তী থাকুন এবং আমার মালিক দাউদ বাদশাহ্র সিংহাসন থেকে তাঁর সিংহাসন স্থায়ী করুন।
38. তখন ইমাম সাদোক, নাথন নবী, যিহোয়াদার পুত্র বনায় এবং করেথীয় ও পলেথীয়রা গিয়ে দাউদ বাদশাহ্র ঘোড়ায় সোলায়মানকে আরোহণ করিয়ে গীহোনে নিয়ে গেলেন।
39. পরে সাদোক ইমাম (পবিত্র) তাঁবুর মধ্য থেকে তেলের শিংগাটি নিয়ে সোলায়মানকে অভিষেক করলেন; আর তূরী বাজালে সমস্ত লোক বললো, বাদশাহ্ সোলায়মান চিরজীবী হোন!
40. আর সমস্ত লোক তাঁর পেছন পেছন উঠে এল এবং জনগণ এমনভাবে বাঁশী বাজাতে ও আনন্দে চিৎকার করতে লাগল যে, তার শব্দে দুনিয়া কেঁপে উঠল।
41. তখন আদোনিয় ও তার সঙ্গে যারা দাওয়াত পেয়েছিল তারা খাওয়া-দাওয়া শেষ করা মাত্র সেই ধ্বনি শুনতে পেল। আর যোয়াব তূরীধ্বনি শুনে বললেন, নগরে এত কলরব কেন হচ্ছে?
42. তিনি কথা বলছেন, এমন সময়ে দেখ, ইমাম অবিয়াথরের পুত্র যোনাথন উপস্থিত হল। আদোনিয় তাকে বললেন, এসো, তুমি ভদ্রলোক, সুসংবাদ এনেছ।
43. যোনাথন জবাবে আদোনিয়কে বললো, মোটেই না, আমাদের মালিক বাদশাহ্ দাউদ সোলায়মানকে বাদশাহ্র পদে নিযুক্ত করেছেন;
44. বাদশাহ্ ইমাম সাদোককে, নবী নাথনকে ও যিহোয়াদার পুত্র বনায়কে এবং করেথীয় ও পলেথীয়দের তাঁর সঙ্গে প্রেরণ করেছেন; আর তাঁরা তাঁকে বাদশাহ্র ঘোড়ায় আরোহণ করালেন;
45. আর ইমাম সাদোক ও নবী নাথন তাঁকে গীহোনে বাদশাহ্র পদে অভিষেক করেছেন; এবং তাঁরা সেই স্থান থেকে এমন আনন্দ করতে করতে এসেছেন যে, নগর প্রতিধ্বনিত হয়ে উঠেছে; তোমরা যে ধ্বনি শুনলে, এ সেই ধ্বনি।