1. তেমনি তোমরা যারা স্ত্রী, তোমরা নিজ নিজ স্বামীর বশীভূতা হও; তাদের মধ্যে কেউ কেউ যদিও আল্লাহ্র কালাম বিশ্বাস না করে, তবুও তোমাদের আচার-ব্যবহার দ্বারা তাদেরকে লাভ করা যেতে পারে। এতে তোমাদের একটি কথাও বলতে হবে না,
2. কারণ তারা তোমাদের বিশুদ্ধ আচার-ব্যবহার স্বচক্ষে দেখতে পায়।
3. আর চুলের বেণী ও গয়নাগাটি কিংবা সুন্দর পোশাক— এসব বাহ্যিক সাজসজ্জায় নয়,
4. কিন্তু যার সৌন্দর্য ধ্বংস হয়ে যায় না, সেই নরম ও শান্ত রূহ্ দিয়ে হৃদয়ের অভ্যন্তরীণ সত্তাকে সাজাও; তা-ই আল্লাহ্র দৃষ্টিতে বহুমূল্য।
5. কেননা আগেকার দিনের যে পবিত্র নারীরা আল্লাহ্র উপরে প্রত্যাশা রাখতেন, তাঁরাও সেইভাবে নিজেদের সাজাতেন, নিজ নিজ স্বামীর অধীনে থাকতেন;
6. যেমন সারা ইব্রাহিমের হুকুম মানতেন ও তাঁকে প্রভু বলে ডাকতেন; তোমরা যদি সৎকর্ম কর ও কোন ভয়ে ভীত না হও, তবে তাঁরই সন্তান হয়ে উঠেছ।
7. তেমনি তোমরা যারা স্বামী, তোমরা বুদ্ধি-বিবেচনা করে স্ত্রীর সঙ্গে বাস কর; তারা অপেক্ষাকৃত দুর্বল পাত্র বলে এবং তাদেরকে নিজেদের সঙ্গে জীবনের রহমতের সহাধিকারিণী জেনে সম্মান কর; যেন তোমাদের মুনাজাত বাধা না পায়।
8. অবশেষে বলি, তোমরা সকলে সমমনা, পরদুঃখে দুঃখিত, ভাইদের মহব্বতকারী, স্নেহবান ও নম্রমনা হও।
9. মন্দের বদলে মন্দ করো না এবং নিন্দার বদলে নিন্দা করো না; বরং দোয়া কর, কেননা দোয়ার অধিকারী হবার জন্যই তোমাদের আহ্বান করা হয়েছে।