10. আগে তোমরা “আল্লাহ্র লোক ছিলে না, কিন্তু এখন তাঁর লোক হয়েছ; আগে করুণা পাও নি, কিন্তু এখন করুণা পেয়েছ।”
11. প্রিয়তমেরা আমি নিবেদন করি, তোমরা বিদেশী ও প্রবাসী বলে গুনাহ্-স্বভাবের অভিলাষগুলো থেকে নিবৃত্ত হও, সেগুলো রূহের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।
12. আর অ-ইহুদীদের মধ্যে নিজ নিজ আচার ব্যবহার উত্তম রাখ; তা হলে তারা যে বিষয়ে দুষ্কর্মকারী বলে তোমাদের অপবাদ দেয়, স্বচক্ষে তোমাদের সৎ কাজ দেখলে সেই বিষয়ের তত্ত্বাবধানের দিনে আল্লাহ্র গৌরব করবে।
13. তোমরা প্রভুর জন্য মানব-সৃষ্ট সমস্ত নিয়োগের বশীভূত হও, সম্রাটের অধীনতা স্বীকার কর, তিনি প্রধান;
14. শাসনকর্তাদের অধীনে থাক, তাঁরা দুরাচারীদের প্রতিফল দেবার ও যারা সৎকর্ম করে তাদের প্রশংসার জন্য সম্রাট কর্তৃক প্রেরিত।
15. কেননা আল্লাহ্র ইচ্ছা এই, যেন এভাবে তোমরা সদাচরণ করতে করতে নির্বোধ মানুষের অজ্ঞানতাকে নিরুত্তর কর।
16. স্বাধীন লোক হিসেবে জীবন কাটাও; আর স্বাধীনতাকে নাফরমানী ঢাকবার জন্য ব্যবহার করো না, কিন্তু আল্লাহ্র গোলাম হিসেবে জীবন কাটাও।
17. সকলকে সম্মান কর, ঈমানদার ভাইদেরকে মহব্বত কর, আল্লাহ্কে ভয় কর, বাদশাহ্কে সম্মান কর।
18. হে গোলামেরা, তোমরা সমপূর্ণ ভয়ের সঙ্গে নিজ নিজ মালিকদের বশীভূত হও; কেবল সজ্জন ও শান্ত মালিকদের নয়, কিন্তু কুটিল মালিকদেরও বশীভূত হও।
19. কেননা কেউ যদি আল্লাহ্র উদ্দেশে বিবেক অনুযায়ী অন্যায় ভোগ করে দুঃখ সহ্য করে, তবে তা-ই সাধুবাদের বিষয়।
20. বস্তুত গুনাহ্ করে মার খেয়ে যদি তোমরা সহ্য কর, তবে তাতে প্রশংসা করার কি আছে? কিন্তু সদাচরণ করে দুঃখভোগ করলে যদি সহ্য কর, তবে তা-ই হবে আল্লাহ্র কাছে সাধুবাদের বিষয়।
21. কারণ তোমরা এরই জন্য আহ্বান পেয়েছ; কেননা মসীহ্ও তোমাদের জন্য দুঃখভোগ করলেন, এই বিষয়ে তোমাদের জন্য একটি আদর্শ রেখে গেছেন, যেন তোমরা তাঁর পদচিহ্ন অনুসরণ কর;
22. “তিনি গুনাহ্ করেন নি,তার মুখে কোন ছলও পাওয়া যায় নি”।
23. তিনি অপমানিত হলে প্রতিউত্তরে অপমান করতেন না; দুঃখভোগের সময় প্রতিশোধ নেবার ভয়ও দেখান নি, কিন্তু যিনি ন্যায় অনুসারে বিচার করেন, তাঁর উপর আস্থা রাখতেন।
24. তিনি নিজের দেহে আমাদের সমস্ত গুনাহ্ ক্রুশের উপরে বহন করলেন, যেন আমরা গুনাহ্র পক্ষে মৃত্যুবরণ করে ধার্মিকতার পক্ষে জীবিত হই; তাঁরই ক্ষত দ্বারা তোমরা সুস্থতা লাভ করেছ।
25. কেননা তোমরা ভেড়ার মত ভ্রান্ত হয়েছিলে, কিন্তু এখন তোমাদের প্রাণের পালক ও নেতার কাছে ফিরে এসেছ।