12. ঈমানের উত্তম যুদ্ধে প্রাণপণ কর; যে অনন্ত জীবনের জন্য তুমি আহ্বান পেয়েছ এবং অনেক সাক্ষীর সাক্ষাতে সেই উত্তম স্বীকারোক্তি উচ্চারণ করেছ, সেই অনন্ত জীবন ধরে রাখ।
13. সকলের জীবনদাতা আল্লাহ্র সাক্ষাতে এবং যিনি পন্তীয় পীলাতের কাছে সেই উত্তম স্বীকারোক্তি উচ্চারণ করেছিলেন, সেই মসীহ্ ঈসার সাক্ষাতে, আমি তোমাকে এই হুকুম করছি,
14. প্রভু ঈসা মসীহ্ প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত তুমি হুকুমটি নিষ্কলঙ্ক ও অনিন্দনীয় রাখ;
15. সেই পরমধন্য ও একমাত্র শাসনকর্তা, বাদশাহ্দের বাদশাহ্ ও প্রভুদের প্রভু, উপযুক্ত সময়ে মসীহ্কে প্রকাশ করবেন।
16. তিনি অমরতার একমাত্র অধিকারী, এমন আলোতে বাস করেন যেখানে কেউ যেতে পারে না, যাঁকে মানুষের মধ্যে কেউ কখনও দেখতে পায় নি, দেখতে সক্ষমও নয়; তাঁরই সমাদর ও অনন্তকালস্থায়ী পরাক্রম হোক। আমিন।
17. যারা এই যুগে ধনবান তাদেরকে এই হুকুম দাও যেন তারা অহংকারী না হয় এবং অস্থায়ী ধনের উপরে নয়, কিন্তু যিনি ধনবানের মত সমস্ত কিছুই আমাদের ভোগের জন্য যুগিয়ে দেন সেই আল্লাহ্রই উপরে প্রত্যাশা রাখে;
18. যেন পরের উপকার করে, সৎ কাজরূপ ধনে ধনবান হয়, দানশীল হয়, সহভাগীকরণে তৎপর হয়;
19. এভাবে তারা নিজেদের জন্য, ভবিষ্যতের জন্য উত্তম ভিত্তিমূলস্বরূপ সম্পদ প্রস্তুত করুক যেন যা প্রকৃতরূপে জীবন তা-ই ধরে রাখতে পারে।
20. হে তীমথি, তোমার কাছে যা গচ্ছিত হয়েছে তা সাবধানে রাখ; যাকে মিথ্যাভাবে জ্ঞান নামে আখ্যাত করা হয় সেই সব ভক্তিহীন অসার প্রলাপ ও স্ববিরোধী শিক্ষা থেকে দূরে থাক;
21. কেউ কেউ সেই জ্ঞান স্বীকার করে ঈমান সম্বন্ধে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে। রহমত তোমাদের সহবর্তী হোক।