4. এবং গল্পকথা ও সীমাহীন বংশ-তালিকায় মনোযোগ না দেয়, কেননা সেগুলো তর্ক-বিতর্ক উপস্থিত করে কিন্তু আল্লাহ্র কর্মপরিকল্পনা উপস্থিত করে না, যা ঈমানের মধ্য দিয়ে জানা যায়।
5. কিন্তু সেই হুকুমের শেষ লক্ষ্য হল মহব্বত, যা পবিত্র অন্তর, সৎবিবেক ও সত্যিকারের ঈমান থেকে উৎপন্ন হয়;
6. কতগুলো লোক এই সকল পথ থেকে ভ্রষ্ট হয়ে অর্থহীন কথাবার্তার দিকে ঝুঁকে পড়েছে।
7. তারা শরীয়তের শিক্ষক হতে চায়, অথচ যা বলে ও যার বিষয়ে দৃঢ়তার সঙ্গে কথা বলে তা বুঝে না।
8. কিন্তু আমরা জানি শরীয়ত উত্তম, অবশ্য কেউ যদি সেটি সঠিকভাবে ব্যবহার করে।
9. আমরা এটা বুঝি যে, শরীয়ত সৎ লোকের জন্য দেওয়া হয় নি, কিন্তু যারা আইন অমান্যকারী ও অবাধ্য, আল্লাহ্বিহীন ও গুনাহ্গার, অপবিত্র ও ভক্তিহীন, পিতৃহন্তা ও মাতৃহন্তা, নরহন্তা,
10. জেনাকারী, পুঙ্গামী, গোলাম ব্যবসায়ী, মিথ্যাবাদী, মিথ্যা শপথকারী, তাদের জন্য শরীয়ত দেওয়া হয়েছ; আর যা কিছু নিরাময় শিক্ষার বিপরীত, তার জন্যও শরীয়ত দেওয়া হয়েছে।
11. সেই শিক্ষা পরম ধন্য আল্লাহ্র সেই গৌরবের ইঞ্জিল অনুসারে, যা আমার হাতে ন্যস্ত করা হয়েছে।
12. আমাদের প্রভু মসীহ্ ঈসার শুকরিয়া করি, যিনি আমাকে শক্তি দিয়েছেন, কেননা তিনি আমাকে বিশ্বস্ত জ্ঞান করে তাঁর সেবাকর্মে নিযুক্ত করেছেন,
13. যদিও আগে আমি ধর্মনিন্দুক, নির্যাতনকারী, অপমানকারী ছিলাম, কেননা না বুঝে অবিশ্বাসের বশে আমি সেসব কাজ করতাম;
14. কিন্তু আমি এখন করুণা পেয়েছি, আর আমাদের প্রভুর রহমত লাভ করেছি এবং এর সঙ্গে মসীহ্ ঈসাতে ঈমান ও মহব্বত অতি প্রচুররূপে উপ্চে পড়েছে।
15. এই কথা বিশ্বাসযোগ্য ও সর্বতোভাবে গ্রহণযোগ্য যে, মসীহ্ ঈসা গুনাহ্গারদের নাজাত করার জন্য দুনিয়াতে এসেছেন; তাদের মধ্যে আমি অগ্রগণ্য;
16. কিন্তু এজন্য করুণা পেয়েছি, যেন অগ্রগণ্য যে আমি, আমার মধ্য দিয়েই ঈসা মসীহ্ তাঁর সীমাহীন ধৈর্য দেখাতে পারেন, যাতে যারা অনন্ত জীবনের জন্য তাঁর উপর ঈমান আনবে আমি তাদের আদর্শ হতে পারি।
17. যিনি সর্বযুগের বাদশাহ্, অক্ষয়, অদৃশ্য, একমাত্র আল্লাহ্, যুগপর্যায়ের যুগে যুগে তাঁরই সমাদর ও মহিমা হোক। আমিন।
18. আমার সন্তান তীমথি, তোমার বিষয়ে অতীতের সকল ভবিষ্যদ্বাণী অনুসারে আমি তোমাকে এই হুকুম দিলাম, যেন তুমি সেই সকল অনুসরণ করার মধ্য দিয়ে উত্তমভাবে যুদ্ধ করতে পার,
19. আর ঈমান ও সৎ বিবেক রক্ষা কর। কিছু লোক সৎ বিবেক বর্জন করার ফলে তাদের ঈমানরূপ নৌকা ডুবে গেছে।