5. সোনার জিনিসের জন্য সোনা ও রূপার জিনিসের জন্য রূপা এবং শিল্পকারদের হাত দিয়ে যা যা করা যাবে, তার জন্যও দিলাম। ভাল, আজ কে মাবুদের উদ্দেশে নিজেকে পবিত্র করার জন্য ইচ্ছাপূর্বক দান করে?
6. তখন পিতৃকুলপতিরা, ইসরাইলের বংশের নেতা, সহস্রপতিরা, শতপতি ও বাদশাহ্র কার্যাধ্যক্ষরা ইচ্ছাপূর্বক দান করলেন।
7. তাঁরা আল্লাহ্র গৃহের কাজের জন্য পাঁচ হাজার তালন্ত সোনা, অদর্কোন নামে দশ হাজার সোনামুদ্রা, দশ হাজার তালন্ত রূপা, আঠার হাজার তালন্ত ব্রোঞ্জ ও এক লক্ষ তালন্ত লোহা দিলেন।
8. আর যাদের কাছে মণি পাওয়া গেল, তারা গের্শোনীয় যিহীয়েলের হাতে মাবুদের গৃহের ভাণ্ডারের জন্য তা দিল।
9. তাতে লোকেরা ইচ্ছাপূর্বক দান করতে পেরে আনন্দ করলো, কেননা তারা একাগ্রচিত্তে মাবুদের উদ্দেশে ইচ্ছাপূর্বক দান করলো এবং দাউদ রাজাও মহানন্দে আনন্দ করলেন।
10. আর দাউদ সমস্ত সমাজের সাক্ষাতে মাবুদের শুকরিয়া করলেন। দাউদ বললেন, হে মাবুদ তোমার প্রশংসা হোক, আমাদের পূর্বপুরুষ ইসরাইলের আল্লাহ্, তুমি অনাদিকাল থেকে অনন্তকাল পর্যন্ত আছ।
11. হে মাবুদ, মহত্ত্ব, পরাক্রম, গৌরব, জয় ও মহিমা তোমারই; কেননা বেহেশতে ও দুনিয়াতে যা কিছু আছে সবই তোমার; হে মাবুদ রাজ্য তোমারই এবং তুমি সকলের মস্তকরূপে উন্নত।
12. তোমা থেকে ধন ও গৌরব আসে এবং তুমি সকলের উপরে কর্তৃত্ব করছো; তোমারই হাতে বল ও পরাক্রম এবং তোমারই হাতে সকলকে মহত্ত্ব ও শক্তি দেবার অধিকার।
13. আর এখন, হে আমাদের আল্লাহ্, আমরা তোমার প্রশংসা করছি, তোমার গৌরবান্বিত নামের প্রশংসা করছি।
14. কিন্তু আমি কে, আমার লোকেরাই বা কে যে আমরা এভাবে ইচ্ছাপূর্বক দান করতে সমর্থ হই? সমস্তই তো তোমা থেকে আসে এবং তোমার হাত থেকে যা পেয়েছি, তা-ই তোমাকে দিলাম।
15. কেননা আমাদের সমস্ত পূর্বপুরুষ যেমন ছিলেন, তেমনি আমরাও তোমার সম্মুখে বিদেশী ও প্রবাসী, দুনিয়াতে আমাদের আয়ু ছায়ার মত ও আশাবিহীন।
16. হে মাবুদ, আমাদের আল্লাহ্, তোমার পবিত্র নামের উদ্দেশে একটি গৃহ নির্মাণ করার জন্য আমরা এই যে দ্রব্যরাশির আয়োজন করেছি, এসব তোমার হাত হতেই এসেছে এবং সবই তোমার।
17. আর আমি জানি, হে আমার আল্লাহ্, তুমি অন্তঃকরণের পরীক্ষা করে থাক ও তুমি সরলতায় খুশি হও; আমি আমার অন্তঃকরণের সরলতায় ইচ্ছাপূর্বক এসব দ্রব্য দিলাম এবং এখন এই স্থানে সমাগত তোমার লোকদেরকেও আনন্দ সহকারে তোমার উদ্দেশে ইচ্ছাপূর্বক দান করতে দেখলাম।