12. হয় তিন বছর দুর্ভিক্ষ, নয় তিন মাস পর্যন্ত দুশমনদের তলোয়ার তোমাকে পেয়ে বসলে তোমার বিপক্ষ লোকদের সম্মুখে সংহার, নয় তো তিন দিন পর্যন্ত মাবুদের তলোয়ার, অর্থাৎ দেশে মহামারী এবং ইসরাইলের সমস্ত অঞ্চলে মাবুদের বিনাশক ফেরেশতার ভ্রমণ। যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন তাঁকে কি উত্তর দেব তা এখন বিবেচনা করে দেখুন।
13. দাউদ গাদকে বললেন, আমি বড়ই বিপদগ্রস্ত হলাম; আমি যেন মানুষের হাতে না পড়ি কিন্তু মাবুদের হাতে পড়ি, কেননা তাঁর করুণা প্রচুর।
14. পরে মাবুদ ইসরাইলের উপরে মহামারী পাঠালেন, তাতে ইসরাইলের সত্তর হাজার লোক মারা পড়লো।
15. আর আল্লাহ্ জেরুশালেম বিনষ্ট করার জন্য এক জন ফেরেশতাকে সেখানে প্রেরণ করলেন; তিনি যখন বিনাশ করতে উদ্যত হলেন তখন মাবুদ সেই ভীষণ শাস্তি দেওয়া থেকে মন ফিরালেন এবং বিনাশক ফেরেশতাকে বললেন, যথেষ্ট হয়েছে, এখন তোমার হাত সঙ্কুচিত কর। তখন মাবুদের ফেরেশতা যিবূষীয় অরৌণার খামারের কাছে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
16. আর দাউদ চোখ তুলে দেখলেন, মাবুদের ফেরেশতা দুনিয়া ও আসমানের মধ্যপথে দাঁড়িয়ে আছেন, তাঁর হাতে জেরুশালেমের উপরে প্রসারিত উম্মুক্ত তলোয়ার। তখন দাউদ ও প্রাচীনেরা চট পরিহিত ছিলেন, তাঁরা অমনি উবুড় হয়ে পড়লেন।
17. আর দাউদ আল্লাহ্কে বললেন, লোকদেরকে গণনা করতে যে হুকুম দিয়েছিল, সে কি আমি নই? আমিই গুনাহ্ করেছি, আমিই বড় অপরাধ করেছি, কিন্তু এই মেষেরা কি করলো? হে আমার আল্লাহ্ মাবুদ, আরজ করি, আমারই বিরুদ্ধে ও আমার পিতৃকুলের বিরুদ্ধে তোমার হাত বাড়িয়ে দাও; কিন্তু তোমার লোকদেরকে প্রহার করার জন্য হাত বাড়িয়ে দিও না।
18. পরে মাবুদের ফেরেশতা দাউদকে বলবার জন্য গাদকে বললেন, দাউদ গিয়ে যিবূষীয় অরৌণার খামারে মাবুদের উদ্দেশে একটি কোরবানগাহ্ স্থাপন করুক।
19. অতএব মাবুদের নামে কথিত গাদের কালাম অনুসারে দাউদ উঠে গেলেন।
20. পরে অরৌণা মুখ ফিরিয়ে ফেরেশতাকে দেখতে পেল, আর তার সঙ্গে যে চার পুত্র ছিল তারা গিয়ে লুকাল।
21. তখন অরৌণা গম মাড়াচ্ছিল। কিন্তু দাউদ অরৌণার কাছে আসলে অরৌণা চোখ তুলে দাউদকে দেখে খামার থেকে বাইরে এসে ভূমিতে উবুড় হয়ে দাউদকে সালাম করলো।