11. আমরা যখন তোমাদের কাছে রূহানিক বীজ বপন করেছি, তখন যদি তোমাদের কাছ থেকে দুনিয়াবী ফল গ্রহণ করি, তবে তাতে কি অধিক কিছু পাওয়া হয়?
12. যদি তোমাদের উপরে কর্তৃত্ব করার অন্য লোকদের অধিকার থাকে তবে আমাদের কি আরও বেশী অধিকার নেই? তবুও আমরা এই কর্তৃত্ব ব্যবহার করি নি, বরং সকলই সহ্য করছি, যেন মসীহের ইঞ্জিলের কোন বাধা না জন্মাই।
13. তোমরা কি জান না যে, পবিত্র বিষয়ের কাজ যারা করে, তারা পবিত্র স্থানের বস্তু খায় এবং যারা কোরবানগাহ্র সেবা করে, তারা কোরবানগাহ্র অংশীদার হয়?
14. সেরূপে প্রভু ইঞ্জিল তবলিগকারীদের জন্য এই বিধান করেছেন যে, তাদের উপজীবিকা ইঞ্জিল থেকেই হবে।
15. কিন্তু আমি এর কিছুই ব্যবহার করি নি, আর আমার সম্বন্ধে যে এরূপ করা হবে, সেজন্য আমি এসব লিখছি না; কেননা কেউ যে আমার শ্লাঘা নিষ্ফল করবে, তা অপেক্ষা বরং আমার মরণ ভাল।
16. কারণ আমি যদিও ইঞ্জিল তবলিগ করি, তবু আমার শ্লাঘা করার কিছুই নেই; কেননা আমার উপরে অর্পিত ভার অবশ্যই আমাকে বহন করতে হবে; ধিক্ আমাকে, যদি আমি ইঞ্জিল তবলিগ না করি।
17. বস্তুতঃ আমি যদি নিজের ইচ্ছায় এই কাজ করি, তবে আমার পুরস্কার আছে; কিন্তু যদি নিজের ইচ্ছায় না করি, তবু এই কাজের ভার আমার হস্তে সমর্পিত রয়েছে।
18. তবে আমার পুরস্কার কি? তা এই যে, আমি তোমাদের কাছে ইঞ্জিল তবলিগ করতে পারি, তাতে তোমাদের কোন অর্থ ব্যয় করার প্রয়োজন নেই, যদিও ইঞ্জিলের বিষয়ে তোমাদের কাছ থেকে তা নেবার অধিকার আমার আছে।
19. কারণ সকল লোক থেকে স্বাধীন হলেও আমি সকলের গোলামী স্বীকার করলাম, যেন অধিক লোককে লাভ করতে পারি।
20. আমি ইহুদীদের লাভ করার জন্য ইহুদীদের কাছে ইহুদীর মত হলাম; নিজে শরীয়তের অধীন না হলেও আমি শরীয়তের অধীন লোকদের লাভ করার জন্য শরীয়তের অধীনদের কাছে শরীয়তের অধীনের মত হলাম।
21. আমি আল্লাহ্র শরীয়তবিহীন নই, বরং মসীহের শরীয়তের অনুগত রয়েছি, তথাপি শরীয়তবিহীন লোকদেরকে লাভ করার জন্য শরীয়ত-বিহীনদের কাছে শরীয়তবিহীনের মত হলাম।
22. দুর্বলদেরকে লাভ করার জন্য আমি দুর্বলদের কাছে দুর্বল হলাম, সমস্ত উপায়ে কতগুলো লোককে নাজাত করার জন্য আমি সর্বজনের কাছে সব রকম হলাম।
23. আমি সব কিছুই ইঞ্জিলের জন্য করি, যেন তাঁর সহভাগী হই।
24. তোমরা কি জান না যে, দৌড় প্রতিযোগিতায় যারা দৌড়ায়, তারা সকলে দৌড়ায়, কিন্তু কেবল একজন পুরস্কার পায়? তোমরা এরূপে দৌড়াও, যেন পুরস্কার পাও।