31. আর যারা দুনিয়ার বিষয় সকল ভোগ করছে, তারা যেন তা পূর্ণমাত্রায় করছে না, কেননা দুনিয়ার বর্তমান রূপ লোপ পেতে চলেছে।
32. কিন্তু আমার বাসনা এই যে, তোমরা চিন্তামুক্ত হও। যে অবিবাহিত, সে প্রভুর বিষয় চিন্তা করে, কিরূপে প্রভুকে সন্তুষ্ট করবে।
33. কিন্তু যে বিবাহিত, সে সংসারের বিষয় চিন্তা করে, কিরূপে স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করবে;
34. তাই তার স্বার্থের বিভক্তি ঘটে। আর অবিবাহিতা স্ত্রীলোক ও কুমারী প্রভুর বিষয় চিন্তা করে, যেন দেহে ও রূহে পবিত্র হয়; কিন্তু বিবাহিতা স্ত্রী সংসারের বিষয় চিন্তা করে, কিরূপে স্বামীকে সন্তুষ্ট করবে।
35. এই কথা আমি তোমাদের নিজের মঙ্গলের জন্য বলছি; তোমাদের উপর কোন বিধি-নিষেধ চাপিয়ে দেবার জন্য নয়, কিন্তু তোমরা যেন শিষ্টাচরণ কর এবং একাগ্র মনে প্রভুতে আসক্ত থাক।
36. কিন্তু যদি কেউ মনে করে যে, সে তার কুমারী কন্যার প্রতি ন্যায় আচরণ করছে না, যদি তার বিয়ের বয়স অতীত হয়ে থাকে, আর বিয়ে দেওয়া আবশ্যক হয়, তবে সে তার ইচ্ছামত কাজ করুক; এতে তার কোন গুনাহ্ হবে না, তার বিয়ে হোক।
37. কিন্তু যে ব্যক্তি অন্তরে স্থির, যার কোন প্রয়োজন নেই এবং নিজেই নিজের ইচ্ছামত কাজ করতে পারে, সে যদি নিজের কন্যাকে কুমারী রাখতে অন্তরে স্থির করে থাকে, তবে ভালই করে।
38. অতএব যে নিজের কুমারী কন্যার বিয়ে দেয়, সে ভাল করে; এবং যে না দেয়, সে আরও ভাল করে।
39. স্বামী যতদিন জীবিত থাকে, স্ত্রী তত-দিন তার সংগে আবদ্ধ থাকে, কিন্তু স্বামীর মৃত্যু হলে পর সে স্বাধীন হয়। তখন যাকে সে ইচ্ছা করে তার সঙ্গে বিবাহিতা হতে পারে, অবশ্য সেই লোক যেন প্রভুর হয়।
40. কিন্তু আমার মত অনুসারে সে যদি সেই অবস্থায় থাকে তবে আরও সুখী হবে। আর আমার মনে হয়, আমিও আল্লাহ্র রূহ্কে পেয়েছি।