9. কারণ আমার বোধ হয়, প্রেরিতগণ যে আমরা, আল্লাহ্ আমাদেরকে বধ্য লোকদের মত শেষের বলে দেখিয়েছেন; কেননা আমরা দুনিয়ার ও ফেরেশতাগণের ও মানুষের ঠাট্টার পাত্র হয়েছি।
10. আমরা মসীহের নিমিত্ত মূর্খ হয়েছি, কিন্তু তোমরা মসীহে বুদ্ধিমান হয়েছ; আমরা দুর্বল, কিন্তু তোমরা বলবান; তোমরা গৌরবান্বিত, কিন্তু আমরা অনাদৃত।
11. এখনকার এই দণ্ড পর্যন্ত আমরা ক্ষুধার্ত, তৃষ্ণার্ত ও বস্ত্রহীন রয়েছি, আর বেত্রাঘাতে আহত হচ্ছি, ও গৃহহীন হয়েছি;
12. এবং স্বহস্তে কাজ করে পরিশ্রম করছি; নিন্দিত হতে হতে দোয়া করছি, তাড়িত হতে হতে সহ্য করছি,
13. অপবাদের পাত্র হতে হতে বিনয় করছি; অদ্য পর্যন্ত আমরা যেন দুনিয়ার আবর্জনা, সকল বস্তুর জঞ্জাল হয়ে রয়েছি।
14. আমি তোমাদেরকে লজ্জা দেবার জন্য নয়, কিন্তু আমার প্রিয় বৎস বলে তোমাদেরকে চেতনা দেবার জন্য এসব লিখছি।
15. কেননা যদিও মসীহে তোমাদের দশ সহস্র পালনকর্তা থাকে, তবুও পিতা অনেক নয়; কারণ মসীহ্ ঈসাতে ইঞ্জিল দ্বারা আমিই তোমাদের জন্ম দিয়েছি।
16. অতএব তোমাদের আরজ করি, তোমরা আমার অনুকারী হও।
17. এই অভিপ্রায়ে আমি তীমথিকে তোমাদের কাছে পাঠিয়েছি; তিনি প্রভুতে আমার প্রিয় ও বিশ্বস্ত সন্তান; তিনি তোমাদেরকে মসীহ্ ঈসাতে আমার পন্থা সকল স্মরণ করাবেন, যা আমি সর্বত্র সমস্ত মণ্ডলীতে শিক্ষা দিয়ে থাকি।
18. আমি তোমাদের কাছে আসবো না বলে কেউ কেউ গর্বিত হয়ে উঠেছে।
19. কিন্তু প্রভু যদি ইচ্ছা করেন, তবে আমি অবিলম্বে তোমাদের কাছে আসবো এবং যারা গর্বিত হয়ে উঠেছে তাদের কথা নয়, কিন্তু তাদের পরাক্রম জানবো।
20. কেননা আল্লাহ্র রাজ্য কথার ব্যাপার নয়, কিন্তু পরাক্রমের ব্যাপার।
21. তোমাদের ইচ্ছা কি? আমি কি বেত নিয়ে তোমাদের কাছে যাব? না, মহব্বত ও মৃদুতার মনোভাব নিয়ে যাব?