9. কারণ আমরা আল্লাহ্রই সহকার্যকারী; তোমরা আল্লাহ্রই ক্ষেত, আল্লাহ্রই গাঁথুনি।
10. আল্লাহ্র যে রহমত আমাকে দেওয়া হয়েছে, সেই অনুসারে আমি জ্ঞানবান গাঁথকের মত ভিত্তিমূল স্থাপন করেছি, আর তার উপরে অন্য লোকেরা গাঁথছে; কিন্তু প্রত্যেক জন দেখুক, কিরূপে সে তার উপরে গাঁথে।
11. কেননা কেবল যা স্থাপিত হয়েছে, তা ব্যতীত অন্য ভিত্তিমূল কেউ স্থাপন করতে পারে না, সেই ভিত্তিমূল হলেন ঈসা মসীহ্।
12. এখন এই ভিত্তিমূলের উপরে যদি কেউ স্বর্ণ, রৌপ্য, বহুমূল্য প্রস্তর, কাষ্ঠ, খড় ও নাড়া দিয়ে গাঁথে,
13. তবে প্রত্যেক ব্যক্তির কর্ম প্রকাশিত হবে। কারণ বিচারের দিনই তা প্রকাশ করবে, কেননা সেই দিনের প্রকাশ অগ্নির মধ্য দিয়েই হবে; আর প্রত্যেকের কর্ম যে কি প্রকার, সেই অগ্নিই তার পরীক্ষা করবে।
14. যে যা গেঁথেছে, তার সেই কর্ম যদি থাকে, তবে সে বেতন পাবে।
15. যার কর্ম পুড়ে যায়, সে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, কিন্তু সে নিজে নাজাত পাবে। তবে তার অবস্থা এমন হবে যে, সে যেন অগ্নির মধ্য দিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে এসেছে।
16. তোমরা কি জান না যে, তোমরা আল্লাহ্র থাকবার গৃহ, এবং আল্লাহ্র রূহ্ তোমাদের মধ্যে বাস করেন?
17. যদি কেউ আল্লাহ্র এবাদতখানা বিনষ্ট করে, তবে আল্লাহ্ তাকে বিনষ্ট করবেন, কেননা আল্লাহ্র এবাদতখানা পবিত্র, আর তোমরাই সেই এবাদতখানা।
18. কেউ নিজেকে বঞ্চনা না করুক। তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি যদি নিজেকে এই যুগে জ্ঞানবান বলে মনে করে, তবে সে জ্ঞানবান হবার জন্য মূর্খ হোক।
19. যেহেতু এই দুনিয়ার যে জ্ঞান, তা আল্লাহ্র কাছে মূর্খতা। কারণ লেখা আছে, “তিনি জ্ঞানবানদেরকে তাদের ধূর্ততায় ধরেন।”
20. আবার লেখা আছে, “প্রভু জ্ঞানবানদের তর্কবিতর্ক জানেন যে, সেসব অসার।”
21. অতএব কেউ মানুষকে নিয়ে গর্ব না করুক। কেননা সকলই তোমাদের—
22. পৌল, বা আপল্লো, বা কৈফা, বা দুনিয়া, বা জীবন, বা মরণ, বা উপস্থিত বিষয়, বা ভবিষ্যৎ বিষয়, সকলই তোমাদের;
23. আর তোমরা মসীহের ও মসীহ্ আল্লাহ্র।