39. সকল মাংস এক রকম মাংস নয়; কিন্তু মানুষের এক রকম, পশুর মাংস অন্য প্রকার, পাখীর মাংস অন্য রকম ও মাছের অন্য রকম।
40. আর বেহেশতী দেহ আছে ও দুনিয়াবী দেহ আছে; কিন্তু বেহেশতী দেহগুলোর এক রকম তেজ ও দুনিয়াবী দেহগুলোর অন্য রকম।
41. সূর্যের এক রকম তেজ, চন্দ্রের আর এক রকম তেজ, ও নক্ষত্রগণের আর এক রকম তেজ; কারণ তেজ সম্বন্ধে এক নক্ষত্র থেকে অন্য নক্ষত্র ভিন্ন।
42. মৃতদের পুনরুত্থানও সেই একই রকম। ক্ষয়ে বপন করা যায়, অক্ষয়তায় উত্থাপন করা হয়;
43. অনাদরে বপন করা যায়, গৌরবে উত্থাপন করা হয়; দুর্বলতায় বপন করা যায়, শক্তিতে উত্থাপন করা হয়;
44. দুনিয়াবী দেহ বপন করা যায়, রূহানিক দেহ উত্থাপন করা হয়। যখন দুনিয়াবী দেহ আছে, তখন রূহানিক দেহও আছে।
45. এরূপ লেখাও আছে, প্রথম “মানুষ” আদম “সজীব প্রাণী হলেন;” শেষ আদম জীবনদায়ক রূহ্ হলেন।
46. কিন্তু যা রূহানিক তা প্রথম নয়, বরং যা দুনিয়াবী তা-ই প্রথম তারপরে রূহানিক।
47. প্রথম মানুষ মাটি থেকে, মাটির মানুষ, দ্বিতীয় মানুষ বেহেশত থেকে।
48. মাটির তৈরি ব্যক্তিরা সেই মাটির তুল্য এবং বেহেশতী ব্যক্তিরা সেই বেহেশতের তুল্য।
49. আর আমরা যেমন সেই মাটির প্রতিমূর্তি ধারণ করেছি, তেমনি সেই বেহেশতী ব্যক্তির প্রতিমূর্তিও ধারণ করবো।
50. আমি এই বলি, ভাইয়েরা, রক্তমাংস আল্লাহ্র রাজ্যের অধিকারী হতে পারে না; এবং যা ধ্বংস হয় তা এমন কিছুর অধিকারী হতে পারে না যা ধ্বংস হয় না।