26. শেষ শত্রু যে মৃত্যু, সেও বিলুপ্ত হবে।
27. কারণ পাক-কিতাবে লেখা আছে, “তিনি সবই বশীভূত করে তাঁর পায়ের তলায় রাখলেন”। কিন্তু যখন পাক-কিতাব বলে যে, সকলই বশীভূত করা হয়েছে, তখন স্পষ্ট দেখা যায়, যিনি সকলই মসীহের বশীভূত করলেন, সেই আল্লাহ্ নিজেকে বাদ দিয়েই তা করলেন।
28. আর সমস্তই তাঁর অধীনে আনা হলে পর পুত্র নিজেও তাঁর অধীন হবেন, যিনি সব কিছুই তাঁর বশে রেখেছিলেন; যেন আল্লাহ্ই সর্বেসর্বা হন।
29. নতুবা, মৃতদের জন্য যারা বাপ্তিস্ম গ্রহণ করে, তারা কি করবে? মৃতেরা যদি একেবারেই পুুনরুত্থিত না হয়, তা হলে ওদের জন্য তারা আবার কেন বাপ্তিস্ম নেয়?
30. আর আমরাই বা কেন ঘণ্টায় ঘণ্টায় বিপদে পড়ি?
31. ভাইয়েরা, আমাদের প্রভু মসীহ্ ঈসাতে তোমাদের বিষয়ে আমার যে গর্ব, তার দোহাই দিয়ে বলছি, আমি প্রতিদিন মৃত্যুর সম্মুখীন হচ্ছি।
32. ইফিষে পশুদের সঙ্গে যে যুদ্ধ করেছি, তা যদি মানুষের মত করে থাকি, তবে তাতে আমার কি লাভ হল? মৃতেরা যদি পুনরুত্থিত না হয়, তবে “এসো, আমরা ভোজন পান করি, কেননা আগামীকল্য মারা যাব”।
33. ভ্রান্ত হয়ো না, কুসংসর্গ শিষ্টাচার নষ্ট করে।
34. ধার্মিক হবার জন্য সচেতন হও, গুনাহ্ করো না, কেননা কারো কারো আল্লাহ্-জ্ঞান নাই; আমি তোমাদের লজ্জার জন্য এই কথা বলছি।
35. কিন্তু কেউ বলবে, মৃতেরা কিভাবে পুনরুত্থিত হয়? কি রকম দেহেই বা আসে?
36. হে নির্বোধ, তুমি নিজে যা বপন কর, তা না মরলে সেখান থেকে জীবন বের হয়ে আসে না।
37. আর যা বপন কর, যে দেহ উৎপন্ন হবে, তুমি তা বপন কর না; বরং গমেরই হোক, কি অন্য কোন কিছুরই হোক, বীজমাত্র বপন করেছ;
38. আর আল্লাহ্ তাকে যে দেহ দিতে ইচ্ছা করলেন, তা-ই দেন; আর তিনি প্রত্যেক বীজকে তার নিজের দেহ দেন।
39. সকল মাংস এক রকম মাংস নয়; কিন্তু মানুষের এক রকম, পশুর মাংস অন্য প্রকার, পাখীর মাংস অন্য রকম ও মাছের অন্য রকম।
40. আর বেহেশতী দেহ আছে ও দুনিয়াবী দেহ আছে; কিন্তু বেহেশতী দেহগুলোর এক রকম তেজ ও দুনিয়াবী দেহগুলোর অন্য রকম।
41. সূর্যের এক রকম তেজ, চন্দ্রের আর এক রকম তেজ, ও নক্ষত্রগণের আর এক রকম তেজ; কারণ তেজ সম্বন্ধে এক নক্ষত্র থেকে অন্য নক্ষত্র ভিন্ন।
42. মৃতদের পুনরুত্থানও সেই একই রকম। ক্ষয়ে বপন করা যায়, অক্ষয়তায় উত্থাপন করা হয়;
43. অনাদরে বপন করা যায়, গৌরবে উত্থাপন করা হয়; দুর্বলতায় বপন করা যায়, শক্তিতে উত্থাপন করা হয়;
44. দুনিয়াবী দেহ বপন করা যায়, রূহানিক দেহ উত্থাপন করা হয়। যখন দুনিয়াবী দেহ আছে, তখন রূহানিক দেহও আছে।
45. এরূপ লেখাও আছে, প্রথম “মানুষ” আদম “সজীব প্রাণী হলেন;” শেষ আদম জীবনদায়ক রূহ্ হলেন।