24. অতঃপরে শেষকাল উপস্থিত হবে; তখন তিনি সমস্ত আধিপত্য এবং সমস্ত কর্তৃত্ব ও পরাক্রম লোপ করার পর পিতা আল্লাহ্র হস্তে রাজ্য সমর্পণ করবেন।
25. কেননা যতদিন তিনি “সমস্ত শত্রুকে তাঁর পদতলে না রাখবেন,” তাঁকে রাজত্ব করতেই হবে।
26. শেষ শত্রু যে মৃত্যু, সেও বিলুপ্ত হবে।
27. কারণ পাক-কিতাবে লেখা আছে, “তিনি সবই বশীভূত করে তাঁর পায়ের তলায় রাখলেন”। কিন্তু যখন পাক-কিতাব বলে যে, সকলই বশীভূত করা হয়েছে, তখন স্পষ্ট দেখা যায়, যিনি সকলই মসীহের বশীভূত করলেন, সেই আল্লাহ্ নিজেকে বাদ দিয়েই তা করলেন।
28. আর সমস্তই তাঁর অধীনে আনা হলে পর পুত্র নিজেও তাঁর অধীন হবেন, যিনি সব কিছুই তাঁর বশে রেখেছিলেন; যেন আল্লাহ্ই সর্বেসর্বা হন।
29. নতুবা, মৃতদের জন্য যারা বাপ্তিস্ম গ্রহণ করে, তারা কি করবে? মৃতেরা যদি একেবারেই পুুনরুত্থিত না হয়, তা হলে ওদের জন্য তারা আবার কেন বাপ্তিস্ম নেয়?
30. আর আমরাই বা কেন ঘণ্টায় ঘণ্টায় বিপদে পড়ি?
31. ভাইয়েরা, আমাদের প্রভু মসীহ্ ঈসাতে তোমাদের বিষয়ে আমার যে গর্ব, তার দোহাই দিয়ে বলছি, আমি প্রতিদিন মৃত্যুর সম্মুখীন হচ্ছি।
32. ইফিষে পশুদের সঙ্গে যে যুদ্ধ করেছি, তা যদি মানুষের মত করে থাকি, তবে তাতে আমার কি লাভ হল? মৃতেরা যদি পুনরুত্থিত না হয়, তবে “এসো, আমরা ভোজন পান করি, কেননা আগামীকল্য মারা যাব”।
33. ভ্রান্ত হয়ো না, কুসংসর্গ শিষ্টাচার নষ্ট করে।
34. ধার্মিক হবার জন্য সচেতন হও, গুনাহ্ করো না, কেননা কারো কারো আল্লাহ্-জ্ঞান নাই; আমি তোমাদের লজ্জার জন্য এই কথা বলছি।
35. কিন্তু কেউ বলবে, মৃতেরা কিভাবে পুনরুত্থিত হয়? কি রকম দেহেই বা আসে?